আদালতে শুকরাম। নিজস্ব চিত্র
বাবাকে খুন করার দায়ে এক জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার এই সাজা ঘোষণা করেছেন পুরুলিয়া জেলা আদালতের (ফাস্ট ট্র্যাক ২) অতিরিক্ত দায়রা বিচারক পীযূষ ঘোষ।
মামলার সরকারি আইনজীবী আনোয়ার আলি আনসারি জানান, খুন হয়েছিল ১৯৯৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টা নাগাদ, আড়শা থানার বামনি গ্রামে। উঠেনের চালাঘরে শুয়েছিলেন বছর সত্তরের বৈদ্যনাথ সিং মুড়া। পরিজনেরা অভিযোগ করেছিলেন, সেই সময়ে বৈদ্যনাথের বড় ছেলে শুকরাম সিং মুড়া লাঠি নিয়ে বাড়িতে ঢুকে বাবাকে আঘাত করতে শুরু করে। শুকরাম ওই বাড়িতে থাকত না। গ্রামেই অন্য বাড়িতে থাকত। মারধরের সময়ে বৈদ্যনাথের দুই পুত্রবধূ ও এক প্রতিবন্ধী ছেলে বাড়িতে ছিলেন। মারের চোটে ওই বৃদ্ধের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। শুকরাম পালিয়ে যায়।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শেষে ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। বলা হয়, ভাগে জমি কম পাওয়াতেই বাবাকে খুন করেছে শুকরাম। চার্জশিটে তদন্তকারী আধিকারিক অভিযুক্ত পলাতক বলে উল্লেখ করেছিলেন। ঘটনার প্রায় কুড়ি বছর পরে, ২০১৫ সালে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই বছরের মে নাগাদ মামলার শুনানি শুরু হয়। সরকারি আইনজীবী জানান, গ্রেফতারের পরে প্রথম বার জামিন পেলেও মানলার শুনানি শুরু হতেই অভিযুক্ত ফের পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ফের অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তার পরে শুকরাম আর জামিন পায়নি। মামলায় ১৪ জন সাক্ষী ছিলেন। শুনানি শুরু হওয়ার আগেই তার মধ্যে চার জনের মৃত্যু হয়। বাকি দশ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। তার ভিত্তিতে অভিযুক্তকে আগেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এ দিন সাজা ঘোষণা হয়।