death certificate

দুটি ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ নিয়ে বিতর্ক বোলপুরে

কী করে এমন হল জানতে চেয়ে মৃতের পরিবারের তরফে সোমবার জেলাশাসক ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বোলপুর শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২১ ০৬:৪৩
Share:

বাবার দুটি ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ হাতে সৈকত ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।

মৃত ব্যক্তির নামে দুটি ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ উঠল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বোলপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালের ঘটনা।

Advertisement

কী করে এমন হল জানতে চেয়ে মৃতের পরিবারের তরফে সোমবার জেলাশাসক ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর উকিলপট্টির বাসিন্দা বছর আশির শম্ভুনাথ ঘোষ ২৮ এপ্রিল বুকে ব্যথা নিয়ে বোলপুরের একটি বেসরকারি
হাসপাতালে ভর্তি হন। পরিবারের অভিযোগ, ভর্তি করার পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করান। সেখানে করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তারপর আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা করার জন্য মোটা টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকার পরেও সেটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে গ্রহণ করা হয়নি বলেও অভিযোগ। ৩০ এপ্রিল মৃত্যু হয় শম্ভুনাথবাবুর।

Advertisement

রোগীর পরিবারের অভিযোগ, এরপরই হাসপাতালের তরফে দুটি ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। একটিতে মৃত্যুর কারণ, করোনা বলা হলেও অন্য ডেথ সার্টিফিকেটে হৃদরোগের সমস্যায়
মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মৃতের ছেলে সৈকত ঘোষ বলেন, “মৃত ব্যক্তির কী ভাবে দুটো ডেথ সার্টিফিকেট করতে
পারে হাসপাতাল। এর থেকে পরিষ্কার হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত গাফিলতি রয়েছে। তার জন্যই বাবাকে হারাতে হয়েছে। আমি চাই প্রশাসন যেন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে।”

ওই বেসরকারি হাসপাতালে কর্ণধার চিকিৎসক শ্যামল রক্ষিতের অবশ্য দাবি, ‘‘আমি জানি না উনি কী অভিযোগ করেছেন। তবে এক ব্যক্তির নামে কখনওই দুটো
ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু হতে পারে না। আমার মনে হয় কোথাও ভুল হচ্ছে।’’ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য
আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি জানান, অভিযোগ এসেছে। কী ভাবে এমন হল, চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে কিনা তদন্ত করে দেখা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন