সম্মান: অমিয়বাবুকে সংবর্ধনা দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র সচিব অত্রি ভট্টাচার্য। নিজস্ব চিত্র
যদুভট্টের রচনা ও সুর দেওয়া ভৈরবী রাগের গান দিয়ে শুরু হল বিষ্ণুপুর মিউজিক ফেস্টিভ্যাল। বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের মাঠে শুক্রবার বিকেলে রামশরণ মিউজিক কলেজের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের সমবেত কণ্ঠে ওই উদ্বোধনী সঙ্গীত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। আয়োজক রাজ্য পর্যটন দফতর।
এ দিন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র তথা পর্যটন সচিব অত্রি ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘২০১২ সালের পরে আবার এই বছর মিউজিক ফেস্টিভ্যাল হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই এটা হল। তাঁর নিজেরই আসার ইচ্ছা ছিল। বাজেটের জন্য আসতে পারেননি।’’
স্বরাষ্ট্র সচিব জানান, পর্যটকদের ঢল নামলে এলাকার অর্থনীতির ভিত আরও মজবুত হবে। সেই কথা ভেবেই এই উৎসব শুরু হয়েছে। এলাকার অর্থনীতির উন্নতির জন্য পর্যটনের গুরুত্বের কথা বলেন বাঁকুড়া জেলা সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তীও।
উৎসব চত্বরে বিভিন্ন সরকারি দফতর স্টল দিয়েছে। বিষ্ণুপুরের মন্দিরগুলি সাজানো হয়েছে আলোয়। উদ্বোধনী মঞ্চে বক্তৃতায় মন্ত্রী শ্যামলবাবু বলেন, ‘‘বিষ্ণুপুরের মন্দিরে এই আলো আর সঙ্গীতের আয়োজন পর্যটন মরসুম জুড়ে চালু রাখলে ভাল হয়।’’ বিষ্ণুপুরের অন্য ঐতিবাহী শিল্পের দিকেও নজর দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
উৎসবের উদ্বোধনের পরে বিষ্ণুপুরের ভূমিপুত্র শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী অমিয়রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মণিলাল নাগকে সংবর্ধনা জানানো হয়। এ দিনের অনুষ্ঠানেই অমিয়বাবু বেহাগ রাগের খেয়ালে মুগ্ধ করেন দর্শকদের। রামশরণ মিউজিক কলেজের অধ্যক্ষ সুজিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নবীন ও প্রবীণ শিল্পীরা এই মঞ্চে সুযোগ পাচ্ছেন। অন্য ঘরানার সঙ্গে আদানপ্রদানের সুযোগ হচ্ছে। এটা খুবই বড় ব্যাপার। তবে এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকাটা খুব জরুরি।’’
এ দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরের পুরপ্রধান শ্যাম মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক তুষার ভট্টাচার্য, জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা। উৎসব চলবে কাল, রবিবার পর্যন্ত।