চুরি যাওয়া চন্দন মিলল লালবাঁধেই

গত বারেরই পুনরাবৃত্তি ঘটল বিশ্বভারতীতে! শান্তিনিকেতনের উত্তরায়ণ লাগোয়া শ্রীপল্লি এলাকা থেকে চুরি যাওয়া চুরি চন্দন গাছের কিছু টুকরো বুধবার দুপুরে লালবাঁধের পরিত্যক্ত এলাকা থেকে উদ্ধার হল। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর উত্তরায়ণের মতো ‘হাই-সিকিউরিটি জোন’ থেকে দু’ দু’টি চন্দন গাছ চুরি গিয়েছিল। খোঁজাখুঁজি শুরুর পরে লালবাঁধের জল থেকে এবং আশপাশের এলাকা থেকে চুরি যাওয়া চন্দন গাছের কিছু কাটা অংশ উদ্ধার হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৫ ০০:৩০
Share:

উদ্ধার করা হচ্ছে চুরি যাওয়া চন্দনের একাংশ। —নিজস্ব চিত্র।

গত বারেরই পুনরাবৃত্তি ঘটল বিশ্বভারতীতে!

Advertisement

শান্তিনিকেতনের উত্তরায়ণ লাগোয়া শ্রীপল্লি এলাকা থেকে চুরি যাওয়া চুরি চন্দন গাছের কিছু টুকরো বুধবার দুপুরে লালবাঁধের পরিত্যক্ত এলাকা থেকে উদ্ধার হল। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর উত্তরায়ণের মতো ‘হাই-সিকিউরিটি জোন’ থেকে দু’ দু’টি চন্দন গাছ চুরি গিয়েছিল। খোঁজাখুঁজি শুরুর পরে লালবাঁধের জল থেকে এবং আশপাশের এলাকা থেকে চুরি যাওয়া চন্দন গাছের কিছু কাটা অংশ উদ্ধার হয়েছিল।

বিশ্বভারতীর উপ-কর্মসচিব (সম্পত্তি) তথা ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিক অশোক মাহাতো এ দিন বলেন, “ঘটনাস্থলের আশেপাশে অনেকটা জায়গাজুড়ে জলা জঙ্গল থাকায় মঙ্গলবার দিনভর কড়া নজরদারি রাখা হয়েছিল। বুধবার নিরাপত্তা বিভাগের কর্মী এবং আশপাশের কিছু শ্রমিককে ওই এলাকায় তল্লাশিতে নামানো হয়। লালবাঁধের জলে ও তার আশপাশের এলাকায় খোঁজ চালানো হয়। কেটে নেওয়া চন্দন গাছের কিছু অংশ পুলিশের উপস্থিতিতে ওই এলাকা থেকেই উদ্ধার হয়েছে।” উদ্ধার হওয়া টুকরো বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

Advertisement

সোমবার সন্ধ্যায় ঝড় জলের পরে দীর্ঘ ক্ষণ এলাকা বিদ্যুৎহীন ছিল। তারই সুযোগে উত্তরায়ণ লাগোয়া শ্রীপল্লি এলাকা থেকে দুষ্কৃতীরা কটি চন্দন গাছ কেটে নেয়। গোটা গাছটি কেটে না নিতে পারলেও এক দিকের সমস্ত অংশ চোরেরা কেটে নিয়েছিল। জানাজানি হতেই মঙ্গলবার বোলপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। গোটা ঘটনায় বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বে, বিশ্বভারতীরই অপর একটি মহল চুরির ভিতরে ‘অন্তর্ঘাতে’র ছায়াও দেখতে শুরু করেছে। বিশ্বভারতীর আধিকারিকেরা অবশ্য কেউ-ই এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি হননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন