১১ হাজার ভোল্টের তার মাথায় নিয়ে ক্লাস মারুগ্রামে

সমীর পাল, কৃষ্ণগোপাল মণ্ডল বলেন, ‘‘ছেলেমেয়েদের পড়াব কী? সব সময় তাদের আগলে বেড়াতে হয়। গত বছর তারের উপরে পড়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে স্কুলের মধ্যেই দু’টি হনুমানের মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় তার ছিঁড়ে পড়ার উপক্রম দেখা  দিয়েছিল। তার ছিঁড়ে পড়লে কী হতো কে জানে!’’

Advertisement

অর্ঘ্য ঘোষ      

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:১৫
Share:

আশঙ্কা: লাভপুরের মারুগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। —ছবি: কল্যাণ আচার্য

প্রবেশপথের মুখেই ‘অরক্ষিত’ বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার। স্কুলভবনের উপর দিয়ে বিদ্যুৎবাহী তার এসে জুড়েছে সেই ট্রান্সফর্মারে। এমনই পরিস্থিতি লাভপুরের মারুগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিপদের আশঙ্কায় থাকছেন স্কুলের শিক্ষকেরা৷ প্রশাসনকে জানালেও প্রতিকার মেলেনি বলে অভিযোগ।

Advertisement

শিক্ষা দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৪৬ সালে শিক্ষানুরাগী পিনাকী মণ্ডলের দানের জমিতে ওই স্কুল তৈরি করা হয়। ১৯৮৯ সালে ওই স্কুলের উপর দিয়ে ১১ হাজার ভোল্টের তার নিয়ে গিয়ে প্রবেশপথের মুখে বসানো ট্রান্সফর্মারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। তা থেকেই গ্রামে বিদ্যৎ সরবরাহ চালু করা হয়। ওই ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ আপত্তি তুলেছিলেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি বলে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি।

স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৮৬। শিক্ষক তিন জন। সমীর পাল, কৃষ্ণগোপাল মণ্ডল বলেন, ‘‘ছেলেমেয়েদের পড়াব কী? সব সময় তাদের আগলে বেড়াতে হয়। গত বছর তারের উপরে পড়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে স্কুলের মধ্যেই দু’টি হনুমানের মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় তার ছিঁড়ে পড়ার উপক্রম দেখা দিয়েছিল। তার ছিঁড়ে পড়লে কী হতো কে জানে!’’

Advertisement

চতুর্থ শ্রেণির অমিত মণ্ডল, প্রীতি মণ্ডল বলেন, ‘‘স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই ট্রান্সফর্মার থেকে আগুন ছিটকে পড়তে দেখি। মাঝেমধ্যে বিকট শব্দে ফিউজও পোড়ে। তখন খুব ভয় করে।’’ আতঙ্কিত অভিভাবকেরাও। বিবেকানন্দ মণ্ডল, সুভাষচন্দ্র মণ্ডল জানান, বিপজ্জনক পরিবেশে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে চিন্তায় থাকেন।

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যাদব চট্টরাজ জানান, বিদ্যুৎ দফতরে লিখিত ভাবে তার এবং ট্রান্সফর্মার সরানোর দাবি জানালেও লাভ হয়নি। লাভপুর গ্রুপ ইলেকট্রিক সাপ্লাইয়ের স্টেশন ম্যানেজার ভূপাল সরকার বলেন, ‘‘বিষয়টি আমাদের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement