পুলিশকে প্রশ্ন পড়ুয়াদের

পড়ুয়াদের পথ নিরাপত্তার পাঠ দিতে স্কুলে এসেছিলেন এক পুলিশকর্মী এবং জনা পনেরো সিভিক ভলান্টিয়র। খুদে পড়ুয়াদের প্রশ্নবাণে অস্বস্তির মুখে পড়তে হল তাঁদের। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাত্রসায়র শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৫৫
Share:

রাস্তায় মিছিল। নিজস্ব চিত্র

পড়ুয়াদের পথ নিরাপত্তার পাঠ দিতে স্কুলে এসেছিলেন এক পুলিশকর্মী এবং জনা পনেরো সিভিক ভলান্টিয়র। খুদে পড়ুয়াদের প্রশ্নবাণে অস্বস্তির মুখে পড়তে হল তাঁদের।

Advertisement

সোমবার পথ নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে পড়ুয়াদের সচেতন করতে কৃষ্ণনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন পাত্রসায়র থানার এক পুলিশকর্মী এবং সিভিক ভলান্টিয়রদের একটি দল। উদ্দেশ্য ছিল, পথ নিরাপত্তা নিয়ে পড়ুয়াদের সচেতন করবেন তাঁরা। পড়ুয়াদের প্রশ্নেরও উত্তর-ও তাঁরা দেবেন। এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে স্কুলের কয়েকশো ছাত্র-ছাত্রী।

সূত্রের খবর, পথ নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনায় হেলমেটের প্রয়োজনীয়তার প্রসঙ্গ ওঠার সময় দাঁড়িয়ে পড়ে পঞ্চম শ্রেণির সোনম পাল। তারপর সে বলে, রোজই তাঁর মামা হেলমেট না পড়ে বাজারে যান। কিন্তু ‘পুলিশকাকুরা’ তাঁকে কোনওদিনই কিছু বলেন না কেন? সোমন বলে, এবার থেকে গাড়ি চালানোর সময় হেলমেট না পরলে মামাকে সে ‘বকবে’। দশম শ্রেণির লোকনাথ বাগের প্রশ্ন, বাসের ছাদে ওঠা যাত্রীদের কেন পুলিশ বাধা দেয় না?

Advertisement

পড়ুয়াদের প্রশ্নে অস্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়। পুলিশের অবশ্য বক্তব্য, পথ নিরাপত্তা নিয়ে তাদের প্রচারে পড়ুয়ারা যে সাড়া দিচ্ছে, তারই প্রতিফলন ঘটেছে এদিন। এদিন পড়ুয়াদের জানান, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের কোনও ধরনের ঘটনা চোখে পড়লেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রের খবর, পথ নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনেক বিষয়ই পড়ুয়ারা জানত না। যেমন, আঠেরো বছর বয়স না হলে যে গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পাওয়া যায় না, তা জানত না অনেক পড়ুয়া। ‘‘মাধ্যমিক উর্ত্তীর্ণ অনেক পড়ুয়াই বাড়িতে স্কুটি কিনে দেওয়ার আবদার করে। কিন্তু তাদের অনেকেই জানে না যে, স্কুটি চালাতেও লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়,’’ বললেন এক পুলিশকর্মী।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক অসিতকুমার ঘোষ জানান, এই ধরনের প্রচার খুব জরুরি। তাঁর কথায়, ‘‘ছাত্রছাত্রীরা সচেতন হলেই সমাজ সচেতন হবে।’’ পাত্রসায়রের ওসি অতনু কাঞ্জিলাল জানান, থানার একজন ইনসপেক্টর এবং পনের জন সিভিক ভলান্টিয়ার এদিন কৃষ্ণনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। প্রথমে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ‘সচেতনতা পদযাত্রা’ হয়েছে। পরে তাদের ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ নিয়ে সচেতনতার পাঠ পড়ান থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি। এদিন ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ নিয়ে একটি ‘বসে আঁকো’ এবং প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা করা হয়। অতনুবাবু জানান, এই ধরনের প্রচার পুলিশ প্রায়ই করে থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন