প্রতীকী ছবি।
ফুটবল খেলতে গিয়ে পড়ে গিয়ে ডান পায়ের হাড় ভেঙেছিল এক ছাত্রের। বাঁকুড়া মেডিক্যালে তার অস্ত্রোপচার করাতে গেলে চিকিৎসকেরা ভুল করে প্রথমে তার বাঁ পায়ে ড্রিল মেশিন চালিয়ে দেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বাঁকুড়া মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ।
গঙ্গাজলঘাটির কেশিয়াড়া গোবিন্দ প্রসাদ উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র সত্যপীর বাউরি বৃহস্পতিবার স্কুলের হয়ে ফুটবল খেলতে গিয়ে পড়ে গিয়ে জখম হয়। শুক্রবার বাঁকুড়া মেডিক্যালে এক্স-রে করলে জানা যায়, ওই দুর্ঘটনায় ছাত্রটির ডান পায়ের হাড় ভেঙেছে। রবিবার হাসপাতালে তার পায়ের অস্ত্রোপচার করা হয়।
ওই ছাত্রের বাবা ত্রিভঙ্গ বাউরির বক্তব্য, ‘‘ছেলে অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরোনোর পরে দেখি তার ডান পায়ে অস্ত্রোপচার হলেও বাঁ পায়ে তিনটি ছিদ্র রয়েছে। সেই ছিদ্র থেকে রক্ত ঝরছিল। এ থেকেই আমাদের অনুমান, ডাক্তারেরা ভুল করে প্রথমে ওর বাঁ পায়ে ড্রিল মেশিন চালায়।’’ ঘটনাটি নিয়ে অবশ্য ওই ছাত্রের পরিবার মঙ্গলবার পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে কোনও অভিযোগ জানাননি। কেশিয়াড়া গোবিন্দ প্রসাদ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক দীপক মণ্ডলের দাবি, ‘‘ওই ছাত্রের বাঁ পায়ে ক্ষত দেখেই আমি বাঁকুড়া মেডিক্যালের অভিযোগ কেন্দ্রে মঙ্গলবার ফোনে অভিযোগ করেছি। চিকিৎসায় গাফিলতি রয়েছে কি না, তা দেখা দরকার।’’
কী হয়েছিল অস্ত্রোপচারের সময়? ওই ছাত্র এ দিন বলে, ‘‘অস্ত্রোপচারের সময় আমার হুঁশ ছিল না। তাই কী হয়েছে, আমি বলতে পারব না।’’
মেডিক্যালের সুপার শুভেন্দুবিকাশ সাহা বলেন, ‘‘ওই পরিবার আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ না জানালেও ঘটনাটি শুনেই আমি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা দাবি করেছে, অস্ত্রোপচার করার পরে ডান পায়ে ট্রাকশন লাগানোর সময় দুর্ঘটনাবশত কয়েকটি পিন ওই ছাত্রের বাঁ পায়ে গেঁথে গিয়েছিল।’’ তিনি জানান, রোগীর পরিবার এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানালে ঘটনার তদন্ত
করা হবে।