ফাইল চিত্র।
ছোট্ট একটি পুর-শহরের নির্বাচন হলেও দেশ-রাজ্যের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তবেই ভোট দেওয়ার আর্জি রাখলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। মঙ্গলবার বিকেলে নলহাটি হরিপ্রসাদ হাইস্কুলের মাঠে পুরভোটের প্রচারে নানা নীতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনাও করেন।
এ দিনের সভায় লোক হয়েছিল ভালই। কিন্তু, তাঁদের অনেকেই পুরভোটে ‘বহিরাগত’ বলে দাবি বিজেপি-র মতো বিরোধী রাজনৈতিক দলের। এলাকায় গিয়েও দেখা গিয়েছে, নলহাটি পুর এলাকার বাইরের রামপুরহাট মহকুমার ময়ূরেশ্বর থেকে রাজগ্রাম, নওয়াপাড়া থেকে হরিদাসপুর প্রভৃতি এলাকা থেকে বাস, ট্রাক্টর, ট্রেকার, যন্ত্রচালিত ভ্যানে করে তৃণমূল কর্মীরা সভায় এসেছেন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত সভাস্থলের দিকে ভাড়া করা গাড়িতে করে লোক ঢুকতেও দেখা যায়।
নলহাটি পুরসভার নির্বাচনে বাইরের কর্মীদের উপস্থিতিকে বিজেপি নেতৃত্ব কটাক্ষ করছেন। একই সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের আশঙ্কা ভোটের দিনেও বাইরে থেকে লোক আনতে পারে তৃণমূল। বিজেপি-র রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসুর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল নির্বাচনের দিন বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে গোলমাল করতে পারে বলে আশঙ্কা করছি।’’ এ ব্যাপারে আজ, বুধবার নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করার কথা বিজেপি-র। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নির্বাচন করানোরও দাবি তুলেছেন সায়ন্তন।
জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য লোক আনা নিয়ে বিজেপি-র কটাক্ষকে আমল দিচ্ছেন না। রামপুরহাট মহকুমা পর্যবেক্ষক ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রাজ্য সভাপতির সভায় বাইরের লোক তো আসতেই পারেন। তবে নলহাটির প্রতিটি ওয়ার্ডের লোকই ওই সভায় ছিল।’’ভোট-প্রচারের শুরু থেকেই নলহাটিতে তৃণমূলের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। তা রুখতেই সুব্রত বক্সীর বার্তা, ‘‘এখানকার ১৬টি আসনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনীত প্রার্থী।’’ তারপরেই যোগ করেন, ‘‘এই নির্বাচন ছোট হলেও এর তাৎপর্য আছে বলে আমি মনে করি। সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এই নির্বাচনে নলহাটির মানুষ যোগ দেবেন।’’
এ দিন সুব্রতবাবু তাঁর বক্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক উত্থানের দিক তুলে ধরার পাশাপাশি এই সরকারের সময়কালে রাজ্যের নানা উন্নয়নমূলক কাজের কথা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে নোটবন্দি থেকে গ্যাসের ভর্তুকি তুলে দেওয়া— নানা প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির সমালোচনা করেন।