Suri

রাস্তায় দড়ি বেঁধে চাঁদা, শিশুর গলা ছড়ল দড়িতে

সিউড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন স্বপ্ননীলের বাবা রাজা চৌধুরী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২০ ০২:৩৬
Share:

লাভপুরে দড়ি ধরে খুদেরা আটকাচ্ছে আরোহীকে। এমন দড়িতে আটকে বিপত্তি সিউড়িতে (বাঁ দিকে)। নিজস্ব চিত্র

গলায় দড়ি লেগে স্কুটি থেকে পড়ে গুরুতর আহত হল এক শিশু। অভিযোগ, ওই দড়ি দিয়ে পথ আটকে সরস্বতী পুজোর চাঁদা তোলা হচ্ছিল।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সিউড়ির চাঁদনিপাড়ায় ওই ঘটনার জেরে গুরুতর আহত হয় বছর আটের স্বপ্ননীল চৌধুরী। তার বাবা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে সে তার এক শিক্ষিকার বাড়িতে পিকনিক করে তাঁর স্কুটিতেই বাড়ি ফিরছিল। চাঁদনিপাড়ায় কয়েকজন নাবালক নাবালিকা রাস্তায় নাইলনের দড়ি বেঁধে পথ আটকায়। তাদের সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক দুই মহিলাও ছিলেন বলে অভিযোগ। জোর করে ওই শিক্ষিকার থেকে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। শিক্ষিকা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ও দড়ি সরিয়ে স্কুটি নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় গলায় দড়ি আটকে স্কুটি থেকে পড়ে যায় স্বপ্ননীল। তার গায়ে হাতে-পায়ে চোট লাগে, গলায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়।

সিউড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন স্বপ্ননীলের বাবা রাজা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘ছোট বাচ্চারা চাঁদা তুলে পুজো করছে তাতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু বিপজ্জনকভাবে দড়ি লাগিয়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে চাঁদা আদায়কে সমর্থন করি না। ওই ছেলেমেয়েদের অভিভাবকদের সচেতন থাকা উচিত। বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেলে কিছু করার থাকবে না।’’

Advertisement

এই ঘটনার খবর ছড়াতেই বছর পনেরোর আরও এক নবম ছাত্রী তাঁর বাবার সঙ্গে সিউড়ি থানায় এসে উপস্থিত হন। তাঁরা দাবি করেন, বুধবার ওই ছাত্রীর সঙ্গেও একই জায়গায় একই ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা অভিযোগ করেন, চাঁদনিপাড়ার কাছে একইভাবে তাঁদের কাছেও টাকা আদায়ের সময় গলাই নাইলনের দড়ি আটকে আহত হন নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী। আহতদের পরিজনদের অভিযোগ, মূলত নাবালক-নাবালিকারা রাস্তা আটকে চাঁদা আদায় করলেও তাদের পিছনে বড়দের উস্কানি রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিউড়ি থানার পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন