আজ রাতের অনুষ্ঠানে ‘তাসের দেশ’

কুড়ি বছর পরে বসন্ত উৎসবের সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে এ বার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘তাসের দেশ’ অনুষ্ঠিত হবে আজ শান্তিনিকেতন আশ্রম মাঠে।গানে রয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়, মাধবী রুজ, মানিনী মুখোপাধ্যায়, অর্পিতা দত্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৭ ০২:৪৯
Share:

মহড়া: শেষ মুহূর্তে ‘তাসের দেশ’-এর অভিনয় সঙ্গীতভবনে। বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরীর তোলা ছবি

কুড়ি বছর পরে বসন্ত উৎসবের সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে এ বার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘তাসের দেশ’ অনুষ্ঠিত হবে আজ শান্তিনিকেতন আশ্রম মাঠে।

Advertisement

গানে রয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়, মাধবী রুজ, মানিনী মুখোপাধ্যায়, অর্পিতা দত্ত। রাজার ভূমিকায় অভিনয় করবেন ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়, রাজপুত্রের চরিত্রে অমর্ত্য মুখোপাধ্যায় এবং রানির ভূমিকায় নন্দিতা বসু সর্বাধিকারী। এ ছাড়া সদাগর সৌমেন সেনগুপ্ত, হরতনী কোয়েল মুখোপাধ্যায়, রুইতন অভিনন্দন সিংহ।

এ দিন নন্দিতাদেবী বলেন, ‘‘অনেক দিন পর এই তাসের দেশ হচ্ছে বসন্ত উৎসবে। সবাই খুব উৎসাহের সঙ্গে পরিশ্রম করে মহড়া দিয়েছে। আশা রাখি আমরা খুব ভাল উপস্থাপনা করতে পারব, সবাই খুব আনন্দ পাবেন।’’

Advertisement

এর আগে কবির জন্ম সার্ধশত বর্ষে কবির এই নৃত্যনাটিকাটি হয়েছিল শান্তিনিকেতনে। তবে এ বার শুধুমাত্র সঙ্গীতভবনই নয়, সন্ধ্যার নৃত্যনাটিকায় যোগ দিয়েছেন বিশ্বভারতীর একাধিক ভবনের অধ্যাপক ও ছাত্রছাত্রীরা।

নৃত্যনাটিকার প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে সঙ্গীতভবনের এক অধ্যাপক জানান, কবি ইউরোপ থেকে ঘুরে এসে এই নৃত্যনাটিকা লিখেছিলেন৷ কবি অবরুদ্ধ সমাজ ভাঙার কথা বললেন। লিখলেন নিয়ম ভাঙার গান। উৎসর্গ করেন সুভাষকে।

নৃত্যনাটিকাটির উৎসর্গপত্রে রবীন্দ্রনাথ লেখেন, ‘‘কল্যাণীয় শ্রীমান সুভাষচন্দ্র,/ স্বদেশের চিত্তে নূতন প্রাণ সঞ্চার করবার পুণ্যব্রত তুমি গ্রহণ করেছ, সেই কথা স্মরণ ক’রে তোমার নামে ‘তাসের দেশ’ নাটিকা উৎসর্গ করলুম।’’

ফি বছর বসন্ত উৎসবে, আশ্রমের রীতি মেনে ভোরে বৈতালিক এবং শোভাযাত্রা সহকারে সকালের অনুষ্ঠান হয়। পর পর ছুটি থাকায়, অন্যান্য বারের তুলনায় এ বার বেশি ভিড়ের আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট সব মহল। আর তাই, ভিড়ে ঠাসা শান্তিনিকেতনে যাতে কোনও অঘটন না হয়, তার জন্য উদ্যোগী সংশ্লিষ্ট সব মহল।

জেলা পুলিশ, প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত, পুরসভা ও এসএসডিএ মতো সংস্থার পাশাপাশি সার্বিক দেখভালের জন্য থাকছে বিশ্বভারতীর ব্যবস্থাও।

এ বারও সিসি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার, উর্দিধারীদের পাশাপাশি মোতয়েন থাকছে সাদা পোশাকে পুরুষ ও মহিলা পুলিশ। এই প্রথম বসন্ত উৎসবের নজরদারিতে থাকছে ড্রোন ক্যামেরাও। উৎসব এলাকা আশ্রম মাঠ এবং আশেপাশে আকাশে ঘুরে নজর চালাবে ড্রোন। মদ্যপদের ঠেকাতে থাকছে ব্রিদা আনালাইজারও।

যানজটের কথা ভেবে ট্রাফিক ব্যবস্থা, পানীয়জল, স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিশেষ নজর দিয়েছে জেলা প্রশাসন। রয়েছে ভ্রাম্যমাণ শৌচাগারের ব্যবস্থাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন