জয়ী: শোভা মল্লিক। নিজস্ব চিত্র
পরের জমি ভাগ চাষ করে সংসার চলে না। তাই বাবাকে দোকানে খাতা লেখার কাজ করতে হয়। সংসারে নিত্য অভাব-অভিযোগ।
এসব সঙ্গে নিয়েই স্কুলের সেরা রেজাল্ট করেও দুশ্চিন্তায় পড়েছে শোভা মল্লিক। এ বার লাভপুরের মুকুন্দলাল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪৫৭ নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে সে। শুধু এ বারই নয় মাধ্যমিকেও ৫৭৬ নম্বর নিয়ে স্কুলের সেরা হয়েছিল শোভা।
স্কুল এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুরের সিমাইত গ্রামে শোভাদের অভাবের সংসার। বিঘে দেড়েক জমি ভাগ চাষের উপরে নির্ভর করে দুই মেয়ের পড়াশোনার খরচ-সহ দুই ৫ সদস্যের সংসার চলে না বলে বাবা সুভাষ মল্লিককে বোলপুরের একটি টায়ারের দোকানে খাতা লেখার কাজ করতে হয়। দিদি অনুরাধাও ওই স্কুলের সেরা ছাত্রী ছিল। বর্তমানে সে কলকাতার একটি মেডিকেল কলেজে নার্সিং ট্রেনিং নিচ্ছে। শোভার ইচ্ছে ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে শিক্ষিকা হওয়ার। কিন্তু তার সেই ইচ্ছে পূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থাভাব। সে জানায়, কলেজে পড়ার শুনেছি অনেক খরচ। এতদিন আমাদের দুই বোনের পড়ার খরচ যোগাতেই বাবাকে হিমসিম খেতে হয়েছে। তাই কি করব ভেবে পাচ্ছি না।
সুভাষবাবু বলেন, ‘‘আমাদের মতো পরিবারের ছেলেমেয়েদের স্বপ্ন তো স্বপ্নই থেকে যায়। জানি না মেয়ের স্বপ্ন আদৌ পূরণ করতে পারব কিনা।’’
প্রধান শিক্ষক সুব্রত পাল বলেন, ‘‘মেয়েটি আমাদের স্কুলের মুখ উজ্বল করেছে। তাই ওর স্বপ্ন পূরণের জন্য আমরা যতটা পারি পাশে থাকার চেষ্টা করব।’’