শিক্ষককে মার পুলিশে নালিশ

এডুকেশন বিষয়ে প্রজেক্টে স্কুল থেকে নম্বর কম দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষককে মারধর করল উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ কয়েকজন ছাত্র। মুরারই থানার চাতরা গণেশলাল হাই স্কুলের ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মুরারই শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৬ ০২:৩১
Share:

এডুকেশন বিষয়ে প্রজেক্টে স্কুল থেকে নম্বর কম দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষককে মারধর করল উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ কয়েকজন ছাত্র। মুরারই থানার চাতরা গণেশলাল হাই স্কুলের ঘটনা। মঙ্গলবার দুপুরে ওই ঘটনার জেরে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে মুরারই থানায় পাঁচ জন ছাত্রের নামে তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানায়, ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক জাকির হোসেন জানান, প্রজেক্টে ২০ নম্বর আছে। তার মধ্যে যারা স্কুলে যারা নিয়মিত ক্লাস করে তাদের কাউকে ১৬, কাউকে ১৪ নম্বর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যারা আমার প্রতি চড়াও হয়েছিল তারা স্কুলে নিয়মিত ক্লাস করত না। স্কুলে তারা বিভিন্ন সময় গোলমাল বাধাত।

ঠিক কী হয়েছিল মঙ্গলবার দুপুরে?

Advertisement

প্রধানশিক্ষক জানান, সোমবার দুপুরেও ওই সমস্ত ছেলেরা বাইরে থেকে কিছু ছেলে এনে স্কুল গেটে তালা লাগিয়ে দিয়ে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করছিল। মুরারই ১ ব্লক অফিসে শিক্ষা নিয়ে একটি মিটিঙে তখন তিনি ছিলেন। সেখান থেকে স্কুলে আসার পর স্কুল গেটে তালা লাগানোর খবর পেয়ে তিনি স্কুলে আসেন। ইতিমধ্যে স্কুলে মুরারই থানার পুলিশ আসে। বিক্ষোভরত ছাত্রদের ডেকে তালা খোলার ব্যবস্থা করা হয়। এবং পুলিশের সামনেই স্কুলের ভিতর ওদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হয়। তাদেরকে রিভিউ-এর পরামর্শ দেওয়া হয়। তারপরেই ছাত্ররা স্কুল থেকে চলে গিয়েছিল। তাঁর দাবি, ‘‘ওই সমস্ত ছাত্ররা কয়েকজন বহিরাগতদের নিয়ে আজকে দুপুরেও আমার অফিসের সামনে এসে আমাকে অফিস থেকে বাইরে বেরিয়ে আসতে বলেন। বাইরে আসতেই ওরা আমার অফিসের চেয়ার ভাঙচুর করে। কিল ঘুষি মারতে থাকে।’’

তিনি বলেন, ‘‘স্কুল চত্ত্বরে থাকা একটা সাইকেল দিয়েও আমাকে আঘাত করে। আমাকে মারছে দেখে স্কুলের সহ শিক্ষকরা ওদেরকে আটকাতে গেলে শিক্ষকদের প্রতি যথেচ্ছ গালি গালাজ করতে করতে ওরা স্কুল থেকে বেরিয়ে যায়।”

ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষকের উপর চড়াও হওয়া ছাত্রদের বাড়ি মুরারই থানার হাবিসপুর গ্রামে। অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

মুণ্ডু চেয়ে পোস্টার। দেওয়ালে সাঁটা একটা পোস্টার। তাতে লাল কালিতে লেখা তিন সিপিএম নেতার নাম। নীচে কালো কালিতে লেখা ‘এদের কাটা মুণ্ডু চাই’! এর সামনেই ফেটেছে একটা বোমাও।

বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার তিন দিন আগে ‘কাটা মুণ্ডু’র দাবিতে এমনই পোস্টার পড়েছে হাওড়ায়। তবে শুধু ওই তিন সক্রিয় সিপিএম কর্মীর মুণ্ডু চেয়েই ক্ষান্ত থাকেননি হুমকি দেওয়া অজ্ঞাত পরিচয়কারীরা। ‘কাটা মুণ্ডু’ চেয়ে ১২ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে পোস্টারে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার গভীর রাতে মধ্য হাওড়ার নেতাজী সুভাষ রোডে ‘মধ্য হাওড়া ব্যয়াম সমিতি’ ক্লাবের সামনে একটি বোমা পড়ার আওয়াজ শুনে ছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু ওই দিন ভয়ে কেউ বাইরে বেরোননি। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়েরা বাইরে এসে ক্লাবের সামনে বোমার সুতলি পড়ে থাকতে দেখেন। তাতে প্রথমে লাল কালিতে জীবন বিশ্বাস, শ্যামল হাজরা এবং বাচ্চু মুদির নাম লেখা, তলায় কালো কালিতে লেখা, ‘এদের মুণ্ড চাই চাই চাই’। নীচে লেখা রয়েছে, ‘তারিখ, ১৯/৫ থেকে ৩০/৫-এর মধ্যে’।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন