ক্ষোভ: রোগীর পরিজনের সঙ্গে পুলিশের বচসা। —নিজস্ব চিত্র।
এক প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল রামপুরহাট জেলা হাসপাতালে।
বুধবার দুপুরে ওই মৃত্যুর ঘটনার পরে তদন্তের দাবিতে সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃতদেহ নিজেদের হেফাজতে নেয়নি রোগীর আত্মীয়স্বজন। এদিকে চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর ঘটনার জেরে জাতীয় সড়কের উপর নলহাটি থানার চামটিবাগান মোড়ে আধঘণ্টার জন্য অবরোধ করেন এলাকার বাসিন্দারা। পরে নলহাটি থানার পুলিশ এলে অবরোধ উঠে যায়। গন্ডগোলের আশঙ্কায় রামপুরহাট থানার আইসি স্বপন ভৌমিক নিজে অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে উপস্থিত হন হাসপাতালে। পরে সুপারের হস্তক্ষেপ রোগীর পরিবার দেহ নিয়ে যায়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ধর্মিতা বাউড়ি (১৯) নামে এক প্রসূতি বুধবার ভোরে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি হয়। ধর্মিতার দিদি বসুমতী বলেন, ‘‘সকাল এগারটার পরে চিকিৎসক জানান বোনের রক্তাল্পতা আছে। হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে এক বোতল রক্ত জোগাড় করা হয়। পরে বোনকে চিকিৎসকের নির্দেশে আইসিসিইউতে রেফার করা হয়। কিন্তু সেখানে দুপুর একটা নাগাদ বোন মারা যায়।’’
রোগীর আত্মীয় পরিজনদের অভিযোগ, ‘‘ভুল চিকিৎসার জন্য রোগী মৃত্যু হয়েছে।’’ তাঁদের দাবি, ‘‘চিকিৎসক অজয় মণ্ডল কেন রোগীর আত্মীয় পরিজনদের পরামর্শ না নিয়ে আইসিসিইউ-তে ভর্তি করেছে। আইসিসিইউতে মারা গেলেও রোগীর আত্মীয় পরিজনদের দীর্ঘক্ষণ বলা হয়নি কেন কিভাবে মারা গিয়েছে। মৃতদেহ দেখতে দেওয়া হয়নি।’’ অজয়বাবু বলেন, ‘‘রোগী রক্তাল্পতা ছিল। সেই জন্য যাবতীয় ওষুধ, ইনজেকশন দেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীন হার্ট ফেল করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে।’’
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার আলি মোর্তাজা বলেন, ‘‘সুপার বাইরে আছেন। সন্ধ্যার মধ্যে হাসপাতালে আসবেন। উনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেই মতো কাজ হবে।’’