সারের গাদা থেকে আধার কার্ড, প্যান কার্ড-সহ জরুরি নথিপত্র উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল ডাক বিভাগ।
সোমবার ঘটনার তদন্তও শুরু করে দিয়েছেন দফতরের রামপুরহাট মহকুমার ইনস্পেক্টর মনোজ সিংহ। শনিবার সন্ধ্যায় মহম্মদবাজারের সেকেড্ডা গ্রামের একটি সারের গাদা থেকে কয়েক বান্ডিল গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছিল। ওই ঘটনায় অভিযোগের তির ছিল এলাকার পোস্ট অফিসের দিকে। তার জেরে ওই সব নথি বিলির দায়িত্বে থাকা পোস্ট অফিসের এক অস্থায়ী পিওনের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ। অভিযুক্তের পরিবার বর্তমানে এলাকাছাড়া। ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় পুলিশ ও প্রশাসনের লোক জন পৌঁছে যান। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আধার কার্ড, প্যান কার্ড ও এটিএম কার্ড-সহ নানা নথিপত্র উদ্ধার করেন। বর্তমানে সেগুলি প্রশাসনের কাছে সিল করা অবস্থায় আছে। গোটা ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে স্থানীয় বাসিন্দারা লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। যদিও সংশ্লিষ্ট পোস্ট মাস্টার এই ঘটনায় চক্রান্তের দাবি করেছিলেন।
এ দিন ডাক বিভাগের সিউড়ি হেড পোস্ট অফিসের সুপারিন্টেন্ডেন্ট পরিমল মিত্র বলেন, ‘‘ঘটনা জানার পরেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ দিন সকাল থেকেই মনোজবাবু তদন্তও শুরু করেছেন।’’ এ দিন বন্ধ ছিল সংশ্লিষ্ট পোস্ট অফিসটি। সে ব্যাপারে পরিমলবাবু দাবি করেন, কিছু সমস্যা থাকায় পোস্ট অফিস খোলা যায়নি। তবে, আজ মঙ্গলবার থেকে ওই পোস্ট অফিসে স্বাভাবিক কাজকর্ম হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ দিকে, এ দিনও পোস্ট অফিসের ওই অস্থায়ী পিয়নের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁর স্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘সেই শনিবার দুপুরে চিঠি বিলি করতে সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলেন। তার পর থেকে ওঁর কোনও খোঁজ নেই। আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে থানাতেও যেতে পারছি না।’’ যদিও গ্রামবাসীর দাবি, ওই পিয়ন কোথাও আত্মগোপন করে রয়েছেন।