Purna Das Baul

পূর্ণদাসের ‘দখল’ হওয়া জমির মাপ শুরু

১৯৭৭ সালে ইলামবাজার থানার কামারপাড়া মৌজায় রাস্তার ধারে চার বিঘা জমি কেনেন পূর্ণদাস বাউল। কিন্তু, ২০০৬ সালের পর থেকে সেই জমি ধীরে ধীরে জবরদখল হতে শুরু করে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইলামবাজার শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:২২
Share:

জমির দলিল হাতে পূর্ণদাস বাউল। মঙ্গলবার ইলামবাজারে। নিজস্ব চিত্র

ইলামবাজারে বাউল শিল্পী পূর্ণদাস বাউলের ‘দখল’ হয়ে যাওয়া জমি সরকারি ভাবে মাপজোকের কাজ শুরু হল মঙ্গলবার। আর এ দিনই বোলপুরের একটি স্কুলের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

১৯৭৭ সালে ইলামবাজার থানার কামারপাড়া মৌজায় রাস্তার ধারে চার বিঘা জমি কেনেন পূর্ণদাস বাউল। কিন্তু, ২০০৬ সালের পর থেকে সেই জমি ধীরে ধীরে জবরদখল হতে শুরু করে বলে অভিযোগ। এই মর্মে বাউল শিল্পীর পরিবার জেলাশাসক ও ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের কাছে বেশ কয়েকবার অভিযোগ জানিয়েছে। এমনকি একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই বাউল শিল্পী। ২০২১ সালের অক্টোবরেও ইলামবাজারে এসে জমি দখল নিয়ে তিনি সরব হয়েছিলেন। কিন্তু, সেই জমি এখনও ফিরে পাননি শিল্পী।

এত দিনে প্রশাসনের উদ্যোগে সেই জমি পুনরায় মাপজোক করার কাজ শুরু করা হল। তা সরেজমিনে দেখতে আসেন পূর্ণদাস ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু এ দিনও ‘প্রকৃত’ জমি তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি বলে দাবি পূর্ণদাস বাউলের। জমির দলিল হাতে নিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘এই জমি আমি কিনে, আমার তিন ছেলেকে দিয়েছি। কিন্তু আজ সেই জমি দখল হয়ে গিয়েছে। আমার মনে হচ্ছে শাসক দলের মদত রয়েছে। না হলে এই জায়গাটা যেতে পারত না।’’ পূর্ণদাসের কথায়, পুরো জমি ফিরে পেয়ে তিনি আখড়া গড়তে চান। তাঁর ছেলে দিব্যেন্দু দাসের অভিযোগ, “এই জমি দখলের পিছনে জমি মাফিয়াদের মদত রয়েছে। আমার মনে হয় শাসক দলও এর সঙ্গে যুক্ত। তা না হলে আমি এতদিন ধরে অভিযোগ জানাচ্ছি, তা সত্ত্বেও নির্মাণ কাজ চলে কী ভাবে!”

Advertisement

রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “এই অভিযোগ ঠিক নয়। বিষয়টি জানা মাত্র আমরা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” ইলামবাজার ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক নির্মল কুমার হালদার বলেন, ‘‘আজ জমিটি তদন্ত করে দেখা হয়েছে। সেই রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব।”

বোলপুর শিক্ষানিকেতন আশ্রম বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের একটি অংশও এ দিন দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ক্ষেত্রেও অভিযোগের আঙুল জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। শিক্ষকেরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ করেন এবং শান্তিনিকেতন থানাকে খবর দেন। পুলিশ এসে নির্মাণকাজ বন্ধ করে।

যাঁর নির্দেশে কাজ হচ্ছিল তাঁকে এ দিন স্কুলেও ডাকা হয়। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি নির্মাণকাজ নিয়ে কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। ভবিষ্যতে এমন কাজ করবেন না বলে একটি মুচলেকাও দিয়ে যান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন