—প্রতীকী চিত্র।
বাঁকুড়ায় এটিএম লুটের ঘটনায় কি ভিন্রাজ্যের কোনও বড়সড় চক্র জড়িত? বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া সদর থানার মাকুড়গ্রাম মোড়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের একটি এটিএম থেকে হাতেনাতে পাকড়াও ভিন্রাজ্যের তিন দুষ্কৃতীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আপাতত সেই উত্তরই খুঁজছেন তদন্তকারীরা । এই চক্রে আর কে বা কারা জড়িত, তা-ও জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ ।
বৃহস্পতিবারবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ বাঁকুড়া-দুর্গাপুর রাজ্য সড়কের ধারে মাকুড়গ্রাম বাজারে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যঙ্কের একটি এটিএম-কে লুটের জন্য বেছে নেয় দুষ্কৃতীরা। ঝাড়খণ্ডের নম্বর প্লেট লাগানো একটি বিলাসবহুল গাড়িতে করে মোট চার দুষ্কৃতী ওই বাজারে এসে গাড়ি থামিয়ে সটান ঢুকে পড়ে এটিএম-এর ভিতরে। এটিএম-এর দরজার শার্টার বন্ধ করে দেয় দুষ্কৃতীরা। চোখের সামনে এমন ঘটনা ঘটলেও প্রথমে স্থানীয়দের ধারণা হয়, এটিএম যন্ত্রে টাকা ঢোকানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মীরা ভিতরে ঢুকেছেন। কিছু ক্ষণ পরে এটিএম-এর ভিতর থেকে সন্দেহজনক শব্দ বেরিয়ে আসতে থাকায় সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। বন্ধ এটিএম-এর শার্টারের ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে স্থানীয়েরা দেখেন, এটিএম যন্ত্র কেটে টাকা লুটের চেষ্টা করছেন ওই চার জন। এর পরেই তাঁদের ধরে ফেলেন স্থানীয়েরা। এক জন পালিয়ে যান। বাকি তিন জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থায়ীয়েরা।
বাঁকুড়া জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী রথিন দে বলেন, ‘‘পুলিশ তিন জনেরই মোট ১৪ দিনের হেফাজত চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল। আদালত ১৩ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছে। ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু সিম কার্ড ও নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এই ঘটনায় আরও বহু তথ্য ও প্রমাণ উঠে আসবে বলেই আমি মনে করি।”