নানুরে টহল।
রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত নানুরের চণ্ডীপুর গ্রাম থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আরও কয়েক জনের খোঁজ চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শনিবার রাতে গণ্ডগোল বেঁধেছিল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকা দখল জেলা যুব সভাপতির অনুগামী হিসেবে পরিচিত আনারুল শেখ ও ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের ‘অনুগামী’ হোসেন শেখের দলবলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। গুলিও চলে। মুকুল মোল্লা নামে এক আনারুল অনুগামীর পায়ে গুলি লাগে। রড় এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন ওই ‘গোষ্ঠী’র আরও পাঁচ জন। তাঁদের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ অবশ্য গুলি তলার কথা মানেনি।
এলাকা দখল ঘিরে নানুরের ওই গ্রামে গোষ্ঠী-বিবাদ দীর্ঘদিনের। এর আগেও একাধিক বার গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়েছে গ্রাম। দু’পক্ষের বিরুদ্ধেই লুটপাটের পাশাপাশি বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে। যার জেরে বিভিন্ন সময় দু’পক্ষের লোকেরা গ্রামছাড়া হন।
শনিবার এক স্থানীয় এক বাসিন্দার শেষকৃত্যে যোগ দিতে গ্রামে ফেরেন ঘরছাড়া হয়ে থাকা কয়েক জন আনারুল সমর্থক। অভিযোগ, সে দিন রাতেই তাঁদের উপর চড়াও হয় হোসেনের দল।
গদাধর হাজরা ও সুব্রত ভট্টাচার্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ মানতে চাননি। দু’জনেরই কথায়, ‘‘আমাদের দলে আলাদা কোনও গোষ্ঠী নেই। অভিযোগ ভিত্তিহীন। ও সব দুষ্কৃতীদের কাজ।’’ পুলিশ জানায়, মুকুল মোল্লার পরিবারের তরফে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ৩ জনকে ধরা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।