সোনালির হাতে তৃণমূলের পতাকা দেওয়া হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র
বোমাবাজি ও গুলি চলায় স্থগিত হয়ে গিয়েছিল পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। তারপরে থেকেই রঘুনাথপুর ১ ব্লকের খাজুরা পঞ্চায়েতে বিজেপির জয়ী সদস্যেরা একের পর এক তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। এর ফলে ভোটে একটিও আসন না পাওয়া তৃণমূল বিজেপির পাঁচ সদস্য পেয়ে, এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রতীকে জেতা দুই সদস্য চিনপিনার সোনালি রজক ও সেনেড়ার কামাখ্যা হেমব্রম তৃণমূলে যোগ দেন। নিতুড়িয়া ব্লকের সড়়বড়িতে তৃণমূলের বিধানসভা এলাকার দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর যোগ দেন। শনিবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন খাজুরা পঞ্চায়েত এলাকা থেকে বিজেপির প্রতীকে জেতা রঘুনাথপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সনাতন চট্টোপাধ্যায়ও। শাঁকড়া গ্রাম থেকে সমিতিতে জিতেছিলেন তিনি। বিজেপির অভিযোগ, ভয় ও প্রলোভন দেখিয়েই তাদের নির্বাচিত সদস্যদের ভাঙাচ্ছে তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের রঘুনাথপুরের বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি দাবি করেন, ‘‘যাঁরা ভুল বুঝে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তাঁরাই এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।” ওই তিন সদস্যরও দাবি, স্বেচ্ছায় তৃণমূলে গিয়েছেন।
বস্তুত, সোমবার খাজুরা পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে ঘিরে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ওই পঞ্চায়েতের সামনে বোম, গুলি চলে বলে অভিযোগ। গোলমালে বোর্ড গঠন হয়নি। সে দিন গুলিতে জখম হওয়া বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য আদিত্য মণ্ডল পরের দিনই আরও এক সদস্য-সহ তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের অনুসরণ করে খাজুরার আরও তিন বিজেপি সদস্য তৃণমূলে গেলেন। সব মিলিয়ে খাজুরা পঞ্চায়েতে শূন্য থেকে তৃণমূলের প্রাপ্তি পাঁচ জন। আর বিজেপির সদস্য সংখ্যা নয় থেকে কমে হল চারে। সিপিএমের তিন জন সদস্য রয়েছে। যদিও পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় তারাই বোর্ড গঠন করবে বলে দাবি তৃণমূলের।
ভোটে এই পঞ্চায়েত সমিতির ২১টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল তিনটিতে। পরে তৃণমূলে যোগ দেন এক নির্দল সদস্য-সহ বিজেপির চার জন। যদিও এখনও ওই সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বিজেপি। তবুও পূর্ণচন্দ্রের দাবি, ‘‘সমিতি আমরাই গড়ব। কারণ সমিতির সভাপতির আসন তফসিলি উপজাতি মহিলা সংরক্ষিত। শুধুমাত্র তৃণমূলেরই এক মহিলা প্রার্থী ওই পদের উপযুক্ত।’’