Birbhum

বীরভূমে জনসংযোগ বাড়াচ্ছে তৃণমূল, মরার আগে হরিনাম, কটাক্ষ বিজেপির

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২০ ১৮:১১
Share:

তৃণমূলের উদ্যোগে কীর্তনের আয়োজন। —নিজস্ব চিত্র

হিন্দুত্বের হাওয়ায় লোকসভা ভোটে রাজ্যে আশাতীত ফল হয়েছিল বিজেপির। আসন্ন বিধানসভা ভোটেও সেই হাওয়া ধরে রাখতে মরিয়া পদ্ম শিবির। আর তার মোকাবিলায় সেই একই দিকে ঝুঁকেছে রাজ্যের শাসকদলও। বীরভূমে ধর্মীয়, লোকসাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। যদিও বিজেপির পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘মরার আগে হরিনাম।’’

Advertisement

সম্প্রতি বোলপুর শহরের ৮ নং ওয়ার্ডে কীর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। প্রথমে কীর্তন গান করে গোটা এলাকায় র‍্যালি করা হয়। তার পর মঞ্চ বানিয়ে তিন ধরে চলে সেই অনুষ্ঠান। স্থানীয় কাউন্সিলার অমর সেখ বলেন, ‘‘তৃণমূলের সরকার ক্ষমতায় আসার আগে গ্রামবাংলার সংস্কৃতির অবস্থা কী ছিল, সবাই দেখেছে। আমরা বাংলার সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে চাই। তাই এমন উদ্যোগ।’’ নানুরের থুপসরা অঞ্চলে আবার দলীয় কার্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছিল সত্যপিরের গানের অনুষ্ঠানের। সেখানেও এলাকাবাসীর ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এগুলি শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, নির্বাচনের আগে এগুলি প্রচারের একেকটি মাধ্যম। এর মাধ্যমে সম্প্রীতির বার্তা যেমন দেওয়া হচ্ছে, জনসংযোগও বাড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। যেমন, জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে দেখা গিয়েছিল পুরোহিত সম্মেলন করতে।

Advertisement

আরও পড়ুন: গোটা বাংলায় দলের পর্যবেক্ষক তিনিই, নাম না করে কাকে বার্তা দিলেন মমতা

যদিও তৃণমূলের এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, ‘‘এ তো মরার আগে হরিনাম। ওরা জানে, ওদের সরকার আর থাকবে না। ওরাই তাই সংখ্যালঘু তোষণ করছে, ধর্মের রাজনীতি করছে। এই সব অনুষ্ঠানই তার প্রমাণ।’’

আরও পড়ুন: ‘জেলে থাকলেও বাংলায় তৃণমূলকে জেতাব’, বাঁকুড়া থেকে চ্যালেঞ্জ মম

পাল্টা তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘গ্রামীণ সংস্কৃতি সম্পর্কে ওরা কী জানে? ওরা শুধু ভোটের রাজনীতি করে। একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বাঙালির এই সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। আগামীতেও আমরা এই কাজ চালিয়ে যাব।’’তার

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন