প্রচারের ফাঁকে গলা ভিজিয়ে নিচ্ছেন ইন্দাসের তৃণমূল প্রার্থী গুরুপদ মেটে। রবিবার। ছবি: শুভ্র মিত্র।
দলেরই কয়েক জন কর্মীর বিরুদ্ধে তাঁদের রাস্তায় আটকে মারধর করার অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত প্রধান এবং কর্মাধ্যক্ষ। রবিবার দুপুরে ইন্দাস থানার সহিসনাড়া বাজারের ঘটনা। ওই দুই নেতার নাম অরুণ দাস ও রামপ্রসাদ মল্লিক। অরুণবাবু আমরুল পঞ্চায়েতের প্রধান। রামপ্রসাদবাবু ইন্দাস পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ। এই ঘটনায় নির্বাচনের আগে ফের এক বার সরাসরি প্রকাশ্যে চলে এল শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে অরুণবাবু কলাগ্রাম থেকে মোটরবাইকে শান্তাশ্রম যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রামপ্রসাদবাবু। অভিযোগ, সহিসনাড়া গ্রামের কাছে মোটরবাইক আটকে তাঁদের এক দল লোক মারধর করে। এমনকী তাঁদের বেঁধে আটকে রাখার চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই দুই নেতাকে উদ্ধার করে। পরে ইন্দাস ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা তাঁদের করানো হয়।
দলের অন্দরে অরুণবাবু এবং রামপ্রসাদবাবু দু’জনেই ইন্দাস ব্লক তৃণমূল সভাপতি রবিউল হোসেনের অনুগামী বলে পরিচিত। যে কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা ইন্দাসের বিধায়ক গুরুপদ মেটের অনুগামী। অরুণবাবুর অভিযোগ, “একশো দিনের কাজ প্রকল্পে ওই গ্রামের একটি রাস্তায় মোরাম দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে এলাকার কিছু মানুষ আপত্তি জানিয়েছিলেন। এ দিন আমাকে এবং রামপ্রসাদকে সহিসনাড়া বাজারে তৃণমূল কর্মী সুদর্শন মহন্ত, মনোরঞ্জন মহন্ত, অভিজিৎ মহন্ত-সহ কয়েক জন আটকে রেখে মারধর করে। এই আক্রমণের পিছনে রাজনৈতিক আক্রোশ রয়েছে।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে সুদর্শন মহন্ত অবশ্য দাবি করেন, “প্রকল্পের কাজে অনিয়ম নিয়ে প্রধানের কাছে জবাবদিহি চেয়েছিলাম। কিন্তু তাঁদের কাউকেই মারধর করা হয়নি। আমরা বিধায়ক গুরুপদ মেটের সঙ্গে রাজনীতি করি বলেআমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” তবে বিষয়টি নিয়ে গুরুপদবাবু বা রবিউল হোসেন— কেউই মুখ খুলতে চাননি।