ফের মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
কিছুদিন আগে রামপুরহাটে অবস্থিত কৃষি ও গ্রাম উন্নয়ন ব্যাঙ্কের পরিচালন কমিটির নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র তুলতে বাধা দেওয়া হয়। তারও আগে মাড়গ্রামের একটি স্কুলে পরিচালন কমিটির নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র তোলার দিন হাঁসনের বিধায়ককে মারধর করা হয়। দুটি ক্ষেত্রেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। এ বার নলহাটি থানার একটি মার্কেটিং সোসাইটির পরিচালন কমিটির বোর্ড অফ ডাইরেক্টরের নির্বাচন ঘিরে বাধা দিল তৃণমূল কর্মীরা। মঙ্গলবার ছিল ঐ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মনোনয়ন পত্র তোলার দিন। এবং উল্লেখযোগ্য বিষয় হল তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও মনোনয়ন পত্র তোলা হয়নি।
নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক অনুপ বসাক বলেন, ‘‘সমবায়ের আইনের বই দেখে কেউ যদি মনোনয়ন পত্র পূরণ করে বুধবার জমা দেন তাহলেও সেই মনোনয়ন পত্র নির্বাচন বিধি অনুযায়ী কার্যকর করা হবে।’’ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নলহাটি থানার লোহাপুর মার্কেটিং সোসাইটির অধীন নলহাটি ২ ব্লকের ১৫ টি কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি আছে। সেই সমস্ত কৃষি উন্নয়ন সমিতির ১ জন করে সদস্যদের ভোটে মার্কেটিং সোসাইটির ৬ জনের বোর্ড অফ ডাইরেক্টর নির্বাচিত হবে।
তৃণমূলের ২ ব্লক সভাপতি বিভাষ অধিকারী বলেন, ‘‘আমাদের সদস্যদের না জানিয়ে মনোনয়ন পত্র ইস্যু করা হচ্ছিল। এবং আমাদের দুই সদস্যের সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে। এর জন্য আজকে আমরা মনোনয়ন পত্র বিলিতে বাধা দিয়েছি। এবং আমরাও মনোনয়ন পত্র তুলিনি।’’ তৃণমূল বিরোধী জোটের সদস্য নলহাটি থানার বারা–পূর্ব সমবায় সমিতির সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, ‘‘আমি এলাকায় যাওয়ার পর দেখি তৃণমূলের লোকজন সোসাইটির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমি এর জন্য এলাকায় আর যাইনি।’’
ঘটনা হল তৃণমূলের পক্ষ থেকেও এই নির্বাচন ঘিরে কোনও প্রস্তুতি ছিল না। কেন না নলহাটি ২ ব্লকের লোহাপুরে মঙ্গলবার যখন কৃষক সভার ব্লক সম্মেলন ঘিরে সিপিএম কর্মীরা ব্যস্ত আছেন সেক্ষেত্রে তৃণমূল কর্মীরা আগাম প্রস্তুতি নিয়ে সদস্যদের তালিকা তৈরি করতে পারেননি বলে এলাকার এক তৃণমূল নেতা জানান।