বিতর্কে: ফোন করছেন শ্যামাপ্রসাদ। নিজস্ব চিত্র
লকডাউন বিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ উঠল শাসক তৃণমূলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে। বুধবার বোলপুরের ওই ঘটনায় অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
এ দিন সকালে সুরুল থেকে স্কুটি নিয়ে শ্রীনিকেতন হয়ে বোলপুরের দিকে যাচ্ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা শ্যামাপ্রসাদ দাস। সেই সময় শ্রীনিকেতন মোড়ের সামনে তাঁকে আটকায় পুলিশ। স্কুটি থামাতেই বেজায় চটে যান তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য তথা রূপপুর অঞ্চল পরিচালনা কমিটির সাত সদস্যের অন্যতম শ্যামাপ্রসাদ। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। নিজের মোবাইল বার করে শান্তিনিকেতন থানার ওসিকে ফোন করে তিনি কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাতে থাকেন। হম্বিতম্বিও করেন বলে অভিযোগ। তারপরই পুলিশ কর্মীদের তিনি বলেন, ‘‘নিয়ে যান। গাড়িটা আমার। গাড়ি থাকল।’’ এরপরে সেখান থেকে চলে যান ওই তৃণমূল নেতা।
রাস্তায় হম্বিতম্বি করার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন শ্যামাপ্রসাদ। তিনি বলেন, ‘‘আমার পাড়ার একটি ছেলেকে সাপে কেটেছে। তাকে দেখতেই আমি এ দিন হাসপাতাল যাচ্ছিলাম। স্কুটি আটকালে আমি বলি একজনের বিপদ হয়েছে বলে আমাকে যেতে হবে। আমার রাজনৈতিক পরিচয় আমি দিইনি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘ওখানে কর্তব্যরত পুলিশকর্মী বলেন গাড়িটি রেখে যেতে হবে। এরপরই ওঁর সঙ্গে আমার কথা কাটাকটি হয়। তারপর আমি গাড়ি রেখে পার্টি অফিসে চলে আসি। আমরা চাই লকডাউন সম্পূর্ণভাবে হোক। লকডাউন যত ভালভাবে মানা হবে ততোই করোনাকে দূরে সরানো যাবে।’’
বোলপুরে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ এই ঘটনার জেরে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘দেশের আইন সকলের উপর সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া উচিত। তৃণমূল নেতা বলে তার অপরাধকে যেন লঘু করে যেন দেখা না হয়। পুলিশ যেন পুলিশের কাজ করে।’’ তৃণমূলের শহর সভাপতি শ্যামসুন্দর কোনার বলেন, ‘‘যদি কেউ আইন ভঙ্গ করে সেক্ষেত্রে আইন আইনের পথে চলবে। এর থেকে বেশি কিছু আমি বলতে পারব না।’’ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বোলপুর) শিবপ্রসাদ পাত্র বলেন, ‘‘একটি মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’’
এ দিন জেলায় পুলিশি তৎপরতা ছিল। তবে লকডাউন ভেঙে রাস্তায় বেরনোর প্রবণতাও দেখা গিয়েছে।