শক্তি দেখাতে তৃণমূলের জনসভা

গত সপ্তাহে পুরুলিয়া শহরেরে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে সভা করেছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই সভায় জেলার এক পঞ্চায়েত সমিতির বিক্ষুব্ধ কর্মাধ্যক্ষ-সহ তৃণমূলের কয়েক জন বিজেপি-তে যোগ দেন। তার পরেই সংগঠন অটুট রাখতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে তৃণমূল। এ দিন সেই ট্যাক্সি স্ট্যান্ডেই তৃণমূলের সভা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৭ ০১:৫০
Share:

সমাগম: পুরুলিয়ার ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে তৃণমূলের সভা। নিজস্ব চিত্র

বিজেপি-র বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে মাঠে নামল তৃণমূল। শনিবার ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে দলের পক্ষ থেকে একটি পাল্টা সভা করা হয়।

Advertisement

গত সপ্তাহে পুরুলিয়া শহরেরে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে সভা করেছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই সভায় জেলার এক পঞ্চায়েত সমিতির বিক্ষুব্ধ কর্মাধ্যক্ষ-সহ তৃণমূলের কয়েক জন বিজেপি-তে যোগ দেন। তার পরেই সংগঠন অটুট রাখতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে তৃণমূল। এ দিন সেই ট্যাক্সি স্ট্যান্ডেই তৃণমূলের সভা হয়েছে।

নেতৃত্বের দাবি, বিরোধীদের কুৎসা, অপপ্রচার এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রতিবাদে এই সভা। মঞ্চ থেকে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের সৃষ্টিধর মাহাতো অভিযোগ করেন, বিজেপি উস্কানির রাজনীতি করছে। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘তৃণমূল রাস্তায় নামলে যাঁরা উস্কানি দিচ্ছেন তাঁরা আর লুকনোর জায়গা পাবেন না।’’ সৃষ্টিধরবাবু আরও বলেন, ‘‘আমরা চাইলে গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি আসনেও ওরা দাঁড়াতে পারবেন না। কিন্তু আমরা রাজনৈতিক ভাবেই লড়তে চাই।’’

Advertisement

সভার অন্যতন বক্তা ছিলেন বাঁকুড়ার তালড্যাংরার বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘দিলীপবাবু এখানে দাঁড়িয়ে বলে গিয়েছেন জঙ্গলমহলে নাকি উন্নয়ন হয়নি। এখন জঙ্গলমহলে একটাও গুলির আওয়াজ শোনা যায় না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গলমহলের দশ হাজার ছেলেকে চাকরি দিয়েছেন। কিন্তু আপনারা তো বলেছিলেন বছরে দু’কোটি বেকারের চাকরি হবে। তার কী হল?’’

সভায় বক্তৃতা দেন বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্রও। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো, সহ-সভাপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ মৃগাঙ্ক মাহাতো।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement