জ়োহরান মামদানি ও তাঁর এস্টোরিয়ার বাসভবন। — ফাইল চিত্র।
আর এক কামরার ঘরে থাকবেন না নিউ ইয়র্কের নতুন মেয়র জ়োহরান মামদানি! শপথ নেওয়ার পরেই সস্ত্রীক চলে যাবেন মেয়রের জন্য নির্ধারিত প্রাসাদে। সমাজমাধ্যমে সে কথা ঘোষণাও করে দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, পরিবারের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত।
জানুয়ারি মাসে নিউ ইয়র্কের মেয়র পদে শপথ নিতে চলেছেন মামদানি। তার পরেই এস্টোরিয়ার ৮০০ বর্গফুটের ঘর ছেড়ে তিনি চলে যাবেন ম্যানহাটনে মেয়রের জন্য নির্ধারিত সরকারি বাসভবনে। ম্যানহাটনের আপার ইস্ট সাইডে অবস্থিত ওই প্রাসাদের নাম গ্রেসি ম্যানসন। ১০,০০০ বর্গফুটেরও বেশি আয়তনের এই প্রাসাদটির দাম প্রায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় ৮৯৮ কোটি টাকার কাছাকাছি। ১৭৯৯ সালে তৈরি এই প্রাসাদটি ১৯৪২ সাল থেকে নিউ ইয়র্কের মেয়রের বাসভবন হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
তবে মেয়রদের যে গ্রেসি ম্যানসনে থাকতেই হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তা ছাড়া, নির্বাচন পর্বে মামদানির প্রচারের কেন্দ্রে ছিল সাশ্রয়ী মূল্যে স্থায়ী আবাসন। তাই মামদানি গ্রেসি ম্যানশনে থাকবেন, না কি থাকবেন নিজের ছোট্ট আবাসনেই— তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। তবে এ বার সেই মামদানি নিজেই প্রাসাদে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সমালোচনা শুরু হয়েছে। যদিও মামদানি জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী, চিত্রশিল্পী রমা দুয়াজির নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁরা মোটেই এস্টোরিয়ার বাড়ি ছাড়তে চান না। মামদানি লিখেছেন, ‘‘আমাদের বাড়িটার কথা খুব মনে পড়বে। আমরা সব কিছু মিস করব— আদেনি চা, স্প্যানিশ কিংবা আরবির মতো নানা ভাষায় প্রাণবন্ত কথোপকথন, বাতাসে ভেসে বেড়ানো সামুদ্রিক খাবার এবং শাওয়ারমার সুবাস— সব!’’
তবে বর্তমান বাসস্থান নিয়েও অতীতে একাধিক বার আক্রমণের মুখে পড়েছেন মামদানি। অ্যাস্টোরিয়ায় এক কামরার অ্যাপার্টমেন্টটির জন্য মাসে প্রায় ২,৩০০ মার্কিন ডলার (২,০০,০০০ টাকা) গুনতে হয় তাঁকে। এই ভাড়া নিউ ইয়র্কে জীবনধারণের মানদণ্ড অনুযায়ী খুবই সাধারণ। অথচ মামদানির বার্ষিক আয় ১৪২,০০০ ডলার (প্রায় ১,২৭,৬০,০০০ টাকা)। তা সত্ত্বেও ভর্তুকিযুক্ত আবাসনে বসবাস করার জন্য বার বার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে।