সবুজ থেকে গেরুয়া, রং-বদল কার্যালয়ের

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে মুরারই ১ ও ২ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের লোক ওই অফিসেই ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। 

Advertisement

তন্ময় দত্ত

মুরারই শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৯ ০১:০৯
Share:

ভোলবদল: রং বদলে গেরুয়া। মুরারইয়ে সেই কার্যালয়। নিজস্ব চিত্র

ছিল সবুজ। রং-পাল্টে করে দেওয়া হল গেরুয়া। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে মুরারই স্টেশন সংলগ্ন পার্টি অফিস থেকে তৃণমূলের পতাকা নামিয়ে বিজেপির পতাকা তুলল কিছু বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীই। দেওয়ালে নরেন্দ্র মোদী ও মুকুল রায়ের ছবি সহ ফ্লেক্সও লাগানো হয়।

Advertisement

এলাকা সূত্রে জানা যায়, তৃণমূলের জন্মলগ্নে এই পার্টি অফিস তৈরি হয়। গোলাম মোস্তফা পিন্টু ওই অফিসটি তৈরি করেছিলেন। ২০০৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে তিনি বিধানসভা ভোটেও লড়তে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে জিততে পারেননি। তার পরে ক্রমে রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের উন্নতি হলেও গোলাম মোস্তফা পিন্টু ও তাঁর সমর্থকেরা আসতে আসতে ওই এলাকায় কোণঠাসা হতে শুরু করেন। দীর্ঘ দিন তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না বলেই দাবি তাঁর সমর্থকদের। কোনও এক সময় মুরারই স্টেশন সংলগ্ন ওই পার্টি অফিসে দেখা যেত না কাউকেই। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে মুরারই ১ ও ২ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের লোক ওই অফিসেই ভিড় জমাতে শুরু করেছেন।

বিজেপির বীরভূম জেলা সহ সভাপতি তখা মুরারইয়ের বাসিন্দা সুধীররঞ্জন দাসগোস্বামী বলেন, ‘‘ওই পার্টি অফিসের ব্যাপারে কিছু জানা নেই। একটি জায়গায় দুটি পার্টি অফিস থাকতে পারে না। জেলার কোনও নেতা এই বিষয়ে কিছু জানেন না। যদি ওই ঘটনা সত্যি হয়, তা হলে দল সে ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।’’ তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়ে গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘‘২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের শতাব্দী রায় এই অফিস থেকেই প্রচার করেছিলেন। তা ছাড়াও ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে নূরে আলম চৌধুরী মুরারই স্টেশনের কাছের এই অফিস থেকে প্রচার করেন। জেতার পরে ওঁদের কেউ-ই আমার সঙ্গে আর কোনও ভাবেই যোগাযোগ করেননি। তাই আমি মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে এসেছি।’’

Advertisement

মুরারই ২ ব্লকের বর্ধনপাড়া, সুহুদিঘি, মুরারই ১ ব্লকের বাহাদুরপুর, মাকোয়া, ডুমুড়গ্রাম থেকে বহু লোক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলেও তাঁর দাবি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের অনেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।

এ বিষয়ে তৃণমূলের মুরারই ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষ বলেন, ‘‘২০১২ সালে ব্লক সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পরে ওই পার্টি অফিস বন্ধ করতে বলেছিলাম। গোলাম মোস্তাফা দল বিরোধী কাজ করায় তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই পার্টি অফিস কোনও দিনও তৃণমূলের ছিল না। রেলের জায়গায় ওঁর ব্যক্তিগত অফিস।’’ মুরারই বিধানসভায় কেউ বিজেপিতে যোগ দেননি বলেও ব্লক সভাপতির দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন