বিজেপি-র দুই নেতাকে মারধর, নিশানায় তৃণমূল

বিজেপি-র দুই নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত কিছু লোকজনের বিরুদ্ধে। প্রহৃত হুড়া থানা এলাকার হিজুলি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আলিম আনসারি ও লক্ষণপুরের বাসিন্দা রিপন ঘোষকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, দু’জনেই আপাতত সুস্থ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:০৫
Share:

বিজেপি-র দুই নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত কিছু লোকজনের বিরুদ্ধে। প্রহৃত হুড়া থানা এলাকার হিজুলি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আলিম আনসারি ও লক্ষণপুরের বাসিন্দা রিপন ঘোষকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, দু’জনেই আপাতত সুস্থ। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় ছ’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে চার জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য দুই অভিযুক্ত আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন।

Advertisement

বিজেপি সূত্রের খবর, আব্দুল আলিম আনসারি বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি এবং রিপন দলের হুড়া ব্লক কমিটির সম্পাদক। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে এই দু’জনকে দেখতে এসে শাসকদলকেকেই দূষেছেন দলের সংখ্যালঘু সেলের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আরশাদ আলম ও সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য কমিটির সম্পাদক আলি হোসেন।

ঘটনাটি ঠিক কী?

Advertisement

পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে আব্দুল আলম আনসারি জানান, গত সোমবার, ২২ অগস্ট পুরুলিয়া-বাঁকুড়া (৬০-এ) জাতীয় সড়কের ধারে মঙ্গলপুরে রিপনের হোটেলে প্রহৃত হন তিনি। তাঁকে বাঁচাতে এসে বেধড়ক মার খান রিপনও। রিপনের কথায়, ‘‘মেরে আমার বাঁ হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’’ কেন মারধর? আলিম বলেন, ‘‘গত বছর লালপুর মহাত্মা গাঁধী কলেজের ছাত্র সংসদে আমরা জিতেছিলাম। আমিই গোটা নির্বাচনে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। ফের কলেজে নির্বাচন আসছে। তাই আগেভাগেই সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করছে শাসকদল।’’ আক্রমণে নেতৃত্ব দেওয়া কয়েক জনকে তিনি চিহ্নিত করে পুলিশকে জানিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের যোগ মানতে চাননি হুড়ার বাসিন্দা তথা তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির সদস্য নরেন চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, অভিযুক্তদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement