আত্মপ্রকাশ করল তৃণমূলের আদিবাসী সংগঠন ‘আদিবাসী উন্নয়ন মঞ্চ’। পঞ্চায়েত ভোটকে লক্ষ করে শনিবার বিকেলে রঘুনাথপুরের নতুনডিতে এই সংগঠনের নাম ঘোষণা করা হয়। সভায় ছিলেন মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, বর্ধমান সভাধিপতি দেবু টুডু প্রমুখ।
সম্প্রতি এই রঘুনাথপুরেই আদিবাসী সম্প্রদায়ের কিছু মানুষের বাধায় বন্ধ হয়েছে সরকারি সংস্থা ডব্লিউএমডিটিসি-র টিলা কেটে পাথর তোলার কাজ। বিধানসভা নির্বাচনের আগে লাগোয়া কাশীপুরে একই ভাবে আদিবাসীদের বাধায় বন্ধ হয় এই সংস্থারই অন্য একটি কাজ। সেবার সমস্যার জট কাটাতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয়। এমনকী বিভিন্ন আদিবাসী ল্যাম্পসের নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়ের প্রেক্ষাপটেই জেলা তৃণমূল এই সংগঠন গড়ে তোলার তাগিদ অনুভব করে। এ দিন দলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘কিছু মানুষ ভুল বোঝাচ্ছেন, তাই এ দিন সভা করে আমরা জানিয়েছি আমাদের সরকার আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য কী কী কাজ করছে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন চাইলে, আমরা তাঁদের প্রতিনিধিত্বও বাড়াতে চাই।’’
আদিবাসী সম্প্রদায়ের মন পাওয়াতেই যে এই নয়া সংগঠনের আত্মপ্রকাশ, তা বিভিন্ন নেতার কথাতেই পরিষ্কার। সন্ধ্যারানি অভিযোগ করেন, ‘‘আদিবাসী এলাকাগুলির উন্নতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও আদিবাসীদের জন্য আরও কাজ করতে উদ্যোগী। অথচ বিরোধীরা ভুল বোঝাচ্ছে।’’ দেবুবাবু বলেন, ‘‘আদিবাসীরা যাতে তাঁদের অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকেন আমাদের সরকার সেই চেষ্টাই করছে।’’