সভাস্থল পরিদর্শন করলেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
রামপুরহাটের যে এলাকায় গত সপ্তাহে প্রশাসনিক সভা করেছিলেন মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই সানঘাটাপাড়া সংলগ্ন শ্রীকৃষ্ণপুর পাখুরিয়া গ্রামে সভাস্থল পরিদর্শন করলেন এলাকার বিধায়ক তথা কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই জমি আগের অবস্থানে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কাজ চলছে জোর কদমে। রবিবার সকালে সেখানে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী সেই কাজেরই তদারকি করলেন সরেজমিনে।
এ দিন দুপুরে রামুরহাট গার্লস স্কুলে ফুটপাত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির তৃতীয় বার্ষিকী সম্মেলন হয়। পতাকা উত্তোলন করে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন অনুমোদিত ফুটপাত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সম্মেলনের সূচনা করেন কৃষিমন্ত্রী। রামপুরহাট বালিকা বিদ্যালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত ওই সম্মেলনে আশিসবাবু বলেন, ‘‘ওই জমিতে চাষের জন্য বিনামূল্যে সরকার থেকে বীজ দেওয়া হবে।”
মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগে সিপিএম অভিযোগ তুলেছিল, চাষযোগ্য জমি নষ্ট করে তৈরি হচ্ছে সভাস্থল। সভার জন্য বহুফসলি জমির উপরে পাকা রাস্তা ও হেলিপ্যাড তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছিলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। যদিও জেলা প্রশাসন এবং শাসকদলের তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেছিলেন, ওটা চাষের জমি নয়, ওখানে ফসলও হয় না। এ দিন সম্মেলনে আশিসবাবুও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য এক কাঠাও চাষযোগ্য জমি নেওয়া হয়নি। যেটুকু জমিতে চাষ হয়েছিল, সেই জমি বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল। আর যেখানে সভা মঞ্চ করা হয়েছিল, সেখানে কোনও চাষ করা হয়নি। আমরা সভা শেষ হওয়ার পরে পাঁচটি জেসিবি মেশিন লাগিয়ে মাঠে ফেলা লাল মোরাম, পাথরগুঁড়ো তুলে ফেলার কাজ শুরু করেছি। ওই জমিতে যাতে ২৪০টি পরিবার এখনই চাষ করতে পারে, তার উপযুক্ত করে তুলছি।’’ তিনি আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঠিক হয়েছে, ওই জমির সমস্ত কৃষককে বিনামূল্যে বীজ দেওয়া হবে। চাষের জন্য সমস্ত রকম সাহায্যও করা হবে।
এ দিনের সম্মেলনে ফুটপাত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সংগঠনের প্রায় ৩৭৫ সদস্যের অধিকাংশই উপস্থিত ছিলেন এ দিনের সম্মেলনে। সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রেকিব বলেন, ‘‘অনেক সময় ফুটপাত থেকে উচ্ছেদ হয়, স্থায়ী উচ্ছেদ হলে, বিকল্প ব্যবস্থা না করলে আমরা তীব্র আন্দোলন করব।’’ যদিও কৃষিমন্ত্রী ফুটপাত ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করে বলেন, “আমাদের সরকার কখনও কারও পেটে লাথি মারবে না। ফলে কোনও ফুটপাত ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ করা হবে না। সরকারি কোনও কাজের জন্য দোকান তোলা হলে আগে বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে।’’ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের শহর সভাপতি অমিত চক্রবর্তী, রামপুরহাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুকান্ত সরকার প্রমুখ।