বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় এবং উদ্যাপন। —নিজস্ব চিত্র।
আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সমবায়ের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে জয় পেল শাসকদল। সবুজ আবির উড়ল বাঁকুড়ায়। অন্য দিকে, বিরোধীদের অভিযোগ, তাদের মনোনয়নপত্রই জমা দিতে দেয়নি শাসকদল।
মঙ্গলবার বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের উত্তরবাড় অঞ্চল সমবায় সমিতির মনোনয়ন জমার শেষ দিনেও বিরোধীদের কেউ মনোনয়ন জমা করেননি। ফলে সমিতির ৫৯টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। যে সমবায় একসময়ে বামেদের একচেটিয়া দখলে ছিল, সেখানে তৃণমূল এ বার বাকিদের মনোনয়ন জমা করতেই দেয়নি বলে অভিযোগ। যদিও সেই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসকশিবির।
২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পরেই সংশ্লিষ্ট সমবায়ের পরিচালন সমিতির দখল নেয় তৃণমূল। তার পর থেকে একচেটিয়া ভাবে ওই সমবায় নিজেদের দখলে রেখেছে তারা। এ বারও অন্যথা হয়নি। মঙ্গলবার ছিল সমবায়ের পরিচালন সমিতির নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। কিন্তু মঙ্গলবারেও বিরোধীদের কোনও প্রার্থী মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় ৫৯ টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে তৃণমূল। জয়ের পর তৃণমূলের জেলা ও ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে সবুজ আবির উড়িয়ে তা উদ্যাপন করেন জয়ী প্রার্থীরা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুব্রত দত্ত বলেন, ‘‘বিরোধীশূন্য করে সমবায়ের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে এই জয় আসলে উন্নয়নেরই জয়। এই জয়কে পাথেয় করে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে বিষ্ণুপুর মহকুমার ৬টি আসনেই জয়ের পতাকা ওড়াবে তৃণমূল।’’
অন্য দিকে, বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র দেবপ্রিয় বিশ্বাসের অভিযোগ, ‘‘সমবায়ের নির্বাচনে প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল বিরোধীদের গায়ের জোরে মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি। না-হলে ফল অন্য হত। এলাকার মানুষ ২০২৬ সালের নির্বাচনে (বিধানসভা) ভোটবাক্সে তার জবাব দেবে।’’ বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুব্রত দত্তের অবশ্য দাবি, ‘‘পুলিশ-প্রশাসন থেকে সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা মনোনয়ন পর্বে সমবায় সমিতির দফতরে হাজির ছিলেন। তাঁরা সকলেই দেখেছেন, বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে আসেননি।’’ বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিরোধীরা নিজেদের অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ দেখাতে পারলে এই নির্বাচনের সমস্ত তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবে।’’