যুব সভাপতি বদল তৃণমূলে

নতুন জেলা কমিটি গঠনের দু’মাসের মধ্যে ফের রদবদল হল পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলে। জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি গৌতম রায়ের বদলে ওই পদে আনা হল সুশান্ত মাহাতোকে। তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৭ ০১:৫৪
Share:

নতুন জেলা কমিটি গঠনের দু’মাসের মধ্যে ফের রদবদল হল পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলে। জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি গৌতম রায়ের বদলে ওই পদে আনা হল সুশান্ত মাহাতোকে। তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত।

Advertisement

গত ২২ মার্চ জেলা তৃণমূল সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো যে কমিটি ঘোষণা করেছিলেন, তাতে সুশান্ত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক পদে। দু’মাসের মধ্যে একটি শাখা সংগঠনের নেত্বত্বে যে রদবদল হতে চলেছে, তার আগাম খবর জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে যুব সংগঠনের জেলা নেতা— কারও কাছেই ছিল না বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। তিন দিন আগে কলকাতায় দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের কোর কমিটির যে বৈঠক ডেকেছিলেন, সেখানেই সুশান্ত জানতে পারেন, তাঁকে জেলার যুব সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

দল সূত্রের জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের যখন ‘যুবা’ (যুব-র পাশাপাশি) সংগঠন ছিল, তখন সুশান্ত ছিলেন পুরুলিয়ার দায়িত্বে। সেই সময় থেকেই দলে নির্বিরোধী হিসেবে পরিচিত সুশান্তকে পছন্দ করতেন অভিষেক। পরবর্তী কালে ‘যুবা’-র অস্তিত্ব লোপ পেয়ে গোটা সংগঠনটিই যুব তৃণমূলের সঙ্গে মিশে যায়। সেই সময় পুরুলিয়ায় ছাত্র সংগঠন থেকে উঠে আসা গৌতম রায়ই ছিলেন জেলা যুব তৃণমূলের দায়িত্বে। আচমকা নিজের পদচ্যুত হওয়ার কথা তিনি আগে জানতেন না। গৌতম বলেন, ‘‘আমার কাছে বদলের কোন খবর ছিল না। দুর্দিনে দলের সঙ্গে ছিলাম। আজও রয়েছি, থাকবও। এখনও প্রতিদিন কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করছি। তবে আমাকে জানানো হলে ভাল লাগত।’’

Advertisement

নতুন দায়িত্ব পাওয়া সুশান্ত বলেন, ‘‘আমার দায়িত্ব রাজ্য নেতৃত্ব ও জেলার মূল সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে যুবকদের দলনেত্রীর আদর্শে কাজ করা।’’ বিজেপি-র উত্থানের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে তাঁর বক্তব্যে। বলছেন, ‘‘বিজেপি আচমকা যে গোলমাল শুরু করেছে, সংগঠনের যুবকদের নিয়ে তা প্রতিহত করতে হবে।’’ জেলা তৃণমূলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সুশান্ত ভাল সংগঠক। তবে দলের দুর্দিনের কর্মী গৌতমকে যাতে জেলা কমিটিতে সম্মানের সঙ্গে রাখা যায়, দলে সেই প্রস্তাব দেব।’’

এ দিন রাতে জেলার বেশ কয়েকটি ব্লকের যুব সভাপতিরা জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোর কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কেন এই বদল হল তা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন। শান্তিরামবাবুর সঙ্গে অবশ্য তাঁদের দেখা হয়নি। বিক্ষুব্ধরা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে কথা বলেন।

পরে শান্তিরামবাবু অবশ্য দাবি করেন, কোনও বিক্ষোভ হয়নি। ওই নেতারা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্ত দলের। ওঁদের যদি কোনও অসন্তোষ থাকে, আমি কথা বলব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement