রং: সাঁইথিয়ার বাজারে ঢেলে বিক্রি হচ্ছে আবির। নিজস্ব চিত্র
আজ রঙের উৎসব। আনন্দের এই উৎসবকে ঘিরে মাতবে গোটা দেশ, রাজ্য। কোথাও দোল উৎসব, কোথাও হোলি বা হোরি।
রাজ্যের প্রতিটি কোণেই পালিত হবে বসন্তের এই অনুষ্ঠান। বৈষ্ণব ধর্মে দোল নিয়ে আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। তবে এই জেলার নানা প্রান্তে রঙ, পিচকারি, বেলুন নিয়ে কচিকাঁচা থেকে মধ্যবয়সীদের মেতে ওঠা রবীন্দ্রনাথের গানে গানে ও নৃত্যধারায়। সুশৃঙ্খলভাবে দোল পালন শুধু শান্তিনিকেতনেই নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কোথাও আজ শান্তিনিকেতনের ছায়া।
সিউড়িতে রয়েছে দোল পূর্ণিমার বৈকালিক মিলন উৎসব বা বসন্ত উৎসব। রবীন্দ্রনাথের গান কবিতা ও নৃত্যনাট্য ঋতুরাজ বসন্ত দিয়ে এই রঙের উৎসব পালন হবে সিউড়ির শ্রীভূমিপল্লির পারিজাতকুঞ্জে। আয়োজক সাংস্কৃতিক সংস্থা সংস্কার ভারতী। যোগজান করবেন সংস্থার ৬০জন শিল্পী।
খয়রাশোলের ছোড়া ও বড়ঘাটা গ্রামে দোলের সকাল থেকে নানা অনুষ্ঠান। দোলের দিন রবীন্দ্রনাথের বসন্তের গানে, শোভাযাত্রা সহকারে গ্রাম ঘোরার শুরুটা হয়েছিল বছর ছয়েক আগে। এখন গ্রামের পাঁচ থেকে ৭৫ সকলেই অংশ নেন। নাচের তলিম নেওয়া দুই তরুণী শুরু করেছিলেন এই অনুষ্ঠান। কিন্তু শুধু রবীন্দ্রনাথ নয়, কোথাও গুজরাতের কাঠি নৃত্যও হয়। মৌ, পায়েল নামের সেই দুই তরুণীর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রতিবার গ্রামে আসেন দোলের টানে। রাজনগরের আনন্দমঠের দোল পালিত হয়। বিষ্ণু মন্দির থেকে কয়েক হাজার মানুষের শোভাযাত্রা প্রদক্ষিণ করে রাজনগরের একটা বড় এলাকা। আবির খেলা সঙ্গে থাকে খোল করতাল, ঢাক। রাতে অনুষ্ঠান শেষে হয় প্রসাদ বিতরণ।
ফুলের টানে রঙের টানে দুবরাজপুরে ক্লাব উত্তরাঞ্চল গত কয়েক বছর ধরে দোল পালন করে চলেছে। অনেকটা শান্তিনিকেতনের ধাঁচেই। তবে দোলের ঠিক পরদিন। শোভাযাত্রায় রবীন্দ্রনাথের গান কবিতায় বসন্ত বরণ এককথায়। অংশগ্রহণ করেন বহু মানুষ।
রামপুরহাট পুরসভার উদ্যোগে রবিবার ‘বসন্ত উৎসব’ অনুষ্ঠিত হবে পুরসভার নেতাজি মুক্ত মঞ্চে। সকালে বর্ণাঢ্য প্রভাতফেরি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে।