দুই জেলায় দু’টি পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক জনের। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
বাঁকুড়ার ওন্দায় পর্যটক বোঝাই বাস উল্টে মৃত্যু হল এক জনের। জখম হয়েছেন ন’জন। সোমবার ভোরে ওন্দার কালীসেন এলাকায় বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ভূপতি চন্দ্রদাস (৭৭) কেশিয়াড়ার বাসিন্দা। তিনি ট্রাভেল এজেন্ট ছিলেন। পুলিশ ও যাত্রীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বাসটি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি থানা এলাকা থেকে বোলপুর শান্তিনিকেতনের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। বাসে প্রায় ৬৮ জন যাত্রী ছিলেন। আনুমানিক রাত সওয়া ৩টে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
বাসের যাত্রী কেশিয়াড়ার বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় দাসের দাবি, ঘটনার সময়ে বাসের গতি খুবই কম ছিল। কালীসেন পার হবার পরে বাসটি টলমল করতে করতে খুব ধীর গতিতে এগোচ্ছিল। রাস্তার বাঁকে একটি লরি বাসটির মুখোমুখি চলে আসায় বাসটি রাস্তা থেকে বেরিয়ে বাঁদিকে চলে আসে। ওই পরিস্থিতিতে চালক ফের বাসটিকে রাস্তার উপরে তুলতে গেলে ফের উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরির মুখোমুখি পড়ে যায়। এর পরেই চালক আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। বাসটি উল্টে রাস্তার পাশের জমিতে গিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ভূপতিবাবুর।
সামনের কাচ ভেঙে প্রথমে যাত্রীরাই জখমদের বের করার কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জখমদের উদ্ধার করে বাঁকুড়া মেডিক্যালে পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বাস চালক কিছুক্ষণের জন্য ঘুমিয়ে পড়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। দেহটি ময়না তদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বাঁকুড়া মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম ন’জনের মধ্যে ছ’জন মহিলা ও তিনজন পুরুষ। তাঁদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
পুরুলিয়ার হুড়ায় এক মোটরবাইক আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ল পুলিশের গাড়ি-সহ একটি ট্রাক। রবিবার রাত প্রায় সাড়ে ৮টা নাগাদ পুরুলিয়া-বাঁকুড়া (৬০ এ) জাতীয় সড়কে হুড়া থানা এলাকার গুড়দা মোড়ের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হুড়ার দিক থেকে পুলিশের একটি গাড়ি পুরুলিয়ার দিকে যাচ্ছিল। উল্টো দিক থেকে আসছিল একটি ট্রাক। দু’টি গাড়ির মাঝে আচমকাই একটি মোটরবাইক চলে আসে। মোটরবাইক আরোহীকে বাঁচাতে দু’টি গাড়িই বাঁক নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। গাড়িটিতে পুরুলিয়া পুলিশ লাইনের কয়েকজন কর্মী মেদিনীপুরের সালুয়া থেকে পুরুলিয়া ফিরছিলেন। ছ’জন পুলিশ কর্মীকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। চালকের চোট গুরুতর হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ট্রাকের চালক আহত হলেও তাঁর চোট ততটা গুরুতর নয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।