Tourist Spot

পর্যটনকেন্দ্রে ভিড় অন্য দিনের মতো 

বীরভূমের বোলপুর থেকে মুকুটমণিপুরে এসেছিলেন মধুমিতা দাস, টুম্পা দাস। তাঁরা জানান, প্রায় এক মাস আগে থেকে বাস রিজার্ভ করা ছিল। তখন ধর্মঘটের কোনও খবর ছিল না।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২০ ০২:১২
Share:

সরগরম: বুধবার মুকুটমণিপুর পর্যটনকেন্দ্রে বাস ও ছোট গাড়িতে এসেছিলেন অনেক পর্যটক। নিজস্ব চিত্র

পর্যটনে পড়ল না ধর্মঘটের প্রভাব। বুধবার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটেও জমজমাট থাকল পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার বিভিন্ন পর্যটনস্থল। অন্য দিনের মতোই স্বাভাবিক ছিল মুকুটমণিপুর। সেখানকার হোটেল ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুদীপ সাহু বলেন, ‘‘এ দিন মুকুটমণিপুরে বেড়াতে আসার জন্য যাঁরা আগে থেকে হোটেল বা লজ বুকি করেছিলেন তাঁরা সবাই এসেছেন।’’ মুকুটমণিপুর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিপুল সাহুর দাবি, কেনাবেচা হয়েছে মরসুমের অন্য দিনগুলির মতোই। তবে নৌকাবিহার সমবায় সমিতির সদস্যদের একাংশের দাবি, পর্যটক অন্য দিনের মতোই এলেও তুলনায় নৌকায় উঠতে আগ্রহীদের ভিড় ছিল কিছুটা কম।

Advertisement

বীরভূমের বোলপুর থেকে মুকুটমণিপুরে এসেছিলেন মধুমিতা দাস, টুম্পা দাস। তাঁরা জানান, প্রায় এক মাস আগে থেকে বাস রিজার্ভ করা ছিল। তখন ধর্মঘটের কোনও খবর ছিল না। জানতে পেরে বাতিল করার কথা ভেবেছিলেন। পরে ঝুঁকি নিয়েই আসার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁরা বলেন, ‘‘কোনও অসুবিধা হয়নি।’’ পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর থেকে ছোট গাড়িতে পরিবার নিয়ে এসেছিলেন অমিত ওম। জানান, এক বার কিছু লোক পথ আটকেছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণেই ছেড়ে দেন। মুকুটমণিপুর টোল গেটের দায়িত্বে থাকা লোকজন জানিয়েছেন, এ দিন প্রায় ৩০টি বাস ও ৭০টি ছোট গাড়ি ঢুকেছিল।

পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে এ দিন পর্যটকদের ভিড় ছিল যথারীতি। ‘লহরিয়া সুন্দরী অযোধ্যা পর্যটন পরিচালনা কমিটি’-র মুখপাত্র মহাবীর মাহাতো বলেন, ‘‘অন্য দিনের মতোই পর্যটকেরা এসেছেন। স্থানীয় গাড়ি ব্যবসায়ীরাও ভাড়া পেয়েছেন।’’ পাহাড়ের গাইড বেণু সেন বলেন, ‘‘পর্যটকদের ভিড় ভালই নজরে এসেছে আপারড্যাম, লোয়ারড্যাম, মার্কেললেক, উসুলডুংরি, বামনিঝোরা প্রভৃতি এলাকায়।’’ কলকাতার নাকতলার পার্থপ্রতিম গুপ্ত অযোধ্যাপাহাড় ঘুরে এ দিন সাঁতুড়ি ব্লকের বড়ন্তিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘রাস্তায় বেরোতে পারব কি না আশঙ্কায় ছিলাম। দুপুরে বেরিয়ে দেখি, রাস্তায় গাড়ি চলাচল কম হলেও কোনও বাধা নেই।’’ অযোধ্যাপাহাড়ের হোটেলের মালিক মোহিত লাটা বলেন, ‘‘হোটেলের সব ঘরই ভর্তি। ধর্মঘটের কোনও প্রভাব পড়েনি এখানে। কেউ বাতিলও করেননি।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন