Traffic Police

স্কুলে গিয়ে পুলকারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ট্রাফিকের

শুক্রবার হুগলির পোলবায় নয়নজুলিতে উল্টে যায় পড়ুয়াদের স্কুল গাড়ি। ওই ঘটনার জন্য স্কুলের পুলকারগুলির স্বাস্থ্য এবং বেপরোয়া গতিকেই দায়ী করেছে পুলিশ, প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:১৩
Share:

চাকার হাল কেমন। পরীক্ষা করছেন পুলিশ কর্মী। নিজস্ব চিত্র

হুগলির পোলবার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিবহণ দফতর এবং ট্রাফিক পুলিশের উদ্যোগে স্কুলে স্কুলে গিয়ে পুলকারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হল সোমবার।

Advertisement

শুক্রবার হুগলির পোলবায় নয়নজুলিতে উল্টে যায় পড়ুয়াদের স্কুল গাড়ি। ওই ঘটনার জন্য স্কুলের পুলকারগুলির স্বাস্থ্য এবং বেপরোয়া গতিকেই দায়ী করেছে পুলিশ, প্রশাসন। সেই ঘটনার তিন দিনের মাথায়, সোমবার সিউড়ির একটি বেসরকারি স্কুলে যান পরিবহণ দফতরের আধিকারিক এবং ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা। সরেজমিনে দেখেন স্কুল গাড়িগুলি হালহকিকত।

যদিও হুগলির দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতেই এই উদ্যোগ, তা মানতে নারাজ জেলা পরিবহণ আধিকারিক মৃন্ময় মজুমদার। তাঁর কথায়, ‘‘জেলাশাসক সপ্তাহ খানেক আগেই

Advertisement

পুলকারগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো জেলা জুড়েই এই কাজ শুরু হয়েছে। এ দিন সিউড়িতে ১৩টি স্কুল গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।’’

জেলা পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে দফতরের আধিকারিক এবং ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা সিউড়ি ১ ব্লকের নগরী পঞ্চায়েত এলাকায় থাকা একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে যান। সেখানে প্রতিটি গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখেন। ওই পুলকারগুলিতে বড়সড় সমস্যা না থাকলেও, সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষকে একটি গাড়ির সামনের কাচ, দুটি গাড়ির একটি করে চাকা পরিবর্তন করার নির্দেশ দেন পরিবহণ আধিকারিকরা। তা ছাড়া, গাড়ির ফাস্ট এড

বক্সগুলি পরিবর্তন করা এবং প্রত্যেক পড়ুয়ার জন্য সিট বেল্ট লাগানোর ব্যবস্থা করতে বলেন।

স্কুলের ফাদার ওয়ারগিজ বলেন, ‘‘কিছু পরিবর্তন করার জন্য বলা হয়েছে। আমরা সেগুলি করে দেব। আসলে সিউড়িতে গাড়ির বেশ কিছু যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় না। তখন ওই যন্ত্রাংশ আসানসোল কিংবা কলকাতা থেকে আনাতে হয়। তাই কিছুটা দেরি হয়।’’ পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা আগামী দিনেও চলবে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার দিকটি মাথায় রেখেই এই চিন্তাভাবনা।

এ দিন গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি গাড়িতে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর স্টিকার লাগানো হয়। গাড়ির চালকদের ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কেও সচেতন করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন