রূপপুর

পুড়ে ছাই বারো বিঘা জমির ধান

নোটের চোটে একেই কাবু গাঁ-ঘর। চাষের খরচ জোটাতে গিয়ে প্রাণান্ত হতে হচ্ছে চা‌ষিদের। এর মাঝে ঘরে ফসল তোলা একেবারে মুখে পুড়ে ছাই হয়ে গেল মাঠ ভরা বারো বিঘা ধান। দেখে শুনে মাথায় হাত ওই ধান জমির মালিকদের!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৪৯
Share:

বাহাদুরপুরে তোলা-নিজস্ব চিত্র।

নোটের চোটে একেই কাবু গাঁ-ঘর। চাষের খরচ জোটাতে গিয়ে প্রাণান্ত হতে হচ্ছে চা‌ষিদের। এর মাঝে ঘরে ফসল তোলা একেবারে মুখে পুড়ে ছাই হয়ে গেল মাঠ ভরা বারো বিঘা ধান। দেখে শুনে মাথায় হাত ওই ধান জমির মালিকদের!

Advertisement

বৃহস্পতিবার খবর পেয়ে, বোলপুর থেকে দমকলের দুটি ইঞ্জিন গিয়ে আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুনে নিয়ন্ত্রণ আনে। ঋণ করে জমিতে ধান লাগানোর খরচ কেমন করে তুলবে, তা নিয়েই রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে ওই পরিবারের। ঘটনা শান্তিনিকেতন থানার রূপপুর পঞ্চায়েতের বাহাদুরপুর গ্রামের।

পুলিশ ও দমকল সূত্রের খবর, ওই গ্রামের বাসিন্দা সুকদেব ঘোষ আট বিঘে জমিতে ধান লাগিয়েছিলেন। তাঁর জমির পাশে ছিল ভরত পালের দু’বিঘা জমি এবং পরেশ পালের প্রায় দু’বিঘা জমি। ওই বারো বিঘে জমির ধানের ফসল কিছুটা কাটা ছিল এবং কিছু জমিতে পাকা ধান ছিল। এ দিন সুকদেব বাবু বলেন, ‘‘কিসান ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ধান লাগিয়েছিলাম। সকালে খবর পাই, জমির ধান পুড়ে গিয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে ঘরে তোলার কথা ভাবছিলাম। কেমন করে কী করব ভাবতে পারছি না!’’

Advertisement

ঋণ না করলেও, কোনও মতে জমিতে ধান লাগিয়ে ছিলেন ভরতবাবু এবং পরেশবাবু। তাঁদের পরিবারেরও একই অবস্থা। কেমন করে খরচ তুলবেন, তা নিয়েই চিন্তা তিন পরিবারের পাশাপাশি স্থানীয়দের। এ দিন কার্যত অরন্ধন হয়েছে ওই তিন পরিবারের। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ও দমকলের অনুমান, হয়তো বিড়ি বা সিগারেটের আগুন থেকে ধানের জমিতে আগুন ছড়িয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন