ফের হাতির হানা, মৃত ২

হাতির হানায় মৃত্যু হল দু’জনের। শনিবার রাতে আড়শা থানা এলাকার ঘটনা। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম পৈরাগ মাহাতো (৫৫) এবং মুকুন্দ মাহাতো (৫৭)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৬ ০২:১১
Share:

—নিজস্ব চিত্র

হাতির হানায় মৃত্যু হল দু’জনের। শনিবার রাতে আড়শা থানা এলাকার ঘটনা। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম পৈরাগ মাহাতো (৫৫) এবং মুকুন্দ মাহাতো (৫৭)। পৈরাগবাবুর বাড়ি হেঁটগুগুই গ্রামের এক প্রান্তে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রৌঢ় একা থাকতেন। এ দিন গাজনের মেলা দেখতে গিয়েছিলেন পৈরাগবাবু। দাঁতালটি তখন বাড়িতে ঢুকে পড়ে ধান খাচ্ছিল। রাত প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ বাড়ি ফিরে হাতিটির মুখোমুখি পড়ে যান তিনি। তাঁকে শুঁড়ে জড়িয়ে আছাড় মারলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই প্রৌঢ়ের।এর পরে লাগোয়া গ্রাম কাশিডিতে হানা দেয় হাতিটি। গরমে বাড়ির উঠোনে মশারি টাঙিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন গ্রামের বাসিন্দা মুকুন্দবাবু। হাতিটি ঘুমন্ত অবস্থাতেই তাঁকে শুড়ে জড়িয়ে আছড়ে মারে।

Advertisement

বছর দেড়েক আগে আড়শা লাগোয়া ঝালদা ২ ব্লকের কাছে দলছুট একটি দাঁতালের উপদ্রব শুরু হয়েছিল। সেটির সামনে পড়ে যাওয়ায় মৃত্যু হয় দু’জনের। সেই দাঁতালটিই ফের এলাকায় এসেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি। বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে এলাকায়। তবে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দাঁতালটির উচ্চতা শনিবার রাতে হানা দেওয়া দাঁতালটির তুলনায় কিছুটা কম ছিল। আড়শার রেঞ্জ আধিকারিক শ্রীমন্ত মাঝি জানান, এ দিন যে হাতিটি হানা দিয়েছিল সেটির উচ্চতা দশ ফুটেও বেশি। দিন কয়েক আগে এ রকমই উচ্চতার একটি দাঁতাল ঝালদার মহকুদর, গুটিলোয়া, বাগবিন্ধ্যা, দঁড়দা প্রভৃতি গ্রামে হানা দিয়েছিল। ঝালদার রেঞ্জার সমীর বসু বলেন, ‘‘শুনে মনে হচ্ছে এ দিন হানা দেওয়া দাঁতালটিই ঝালদার দিকে ছিল।’’ বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে দাঁতালটি মুরগুমার কাছে গুড়রাবেড়া গ্রামের অদূরে জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement