Accident

 দুই বন্ধুর দেহ পড়ে রাস্তার ধারে, বাঁকুড়ায় জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য

সোমবার বিষ্ণুপুরের হেতাগোড়া গ্রামের বাসিন্দা স্বপন অধিকারী এবং বাঁকাদহের বাসিন্দা তরুণ দে একসঙ্গে বেরিয়েছিলেন। কিছুটা পরে তাঁদের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩১
Share:

দুর্ঘটনায় দুই বন্ধুর মৃত্যু। প্রতীকী চিত্র।

প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে মৃত্যু হল দুই বন্ধুর। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার বাঁকাদহ পেট্রল পাম্পের কাছে। মৃত দুই বন্ধুর নাম স্বপন অধিকারী (৬৫) এবং তরুণ দে (৫৫)। দুই বন্ধুর মৃত্যুর কারণ জানতে মৃতদেহ দু’টি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো সোমবার ভোর ৪টে নাগাদ বিষ্ণুপুর থানার হেতাগোড়া গ্রামের বাসিন্দা স্বপন এবং তাঁর বন্ধু পার্শ্ববর্তী গ্রাম বাঁকাদহের বাসিন্দা তরুণ একসঙ্গে বেরিয়েছিলেন। স্বপন পেশায় পশু চিকিৎসক এবং তরুণ পেশায় সাইকেল মিস্ত্রি। এর পর, সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বিষ্ণুপুরে যাওয়ার পথে দেখেন রাস্তার ধারে দু’জনেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁরা তড়িঘড়ি দু’জনকে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, জাতীয় সড়কে কোনও গাড়ি ধাক্কায় ওই দু’জনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। দু’জনের মৃত্যুর কারণ জানতে পুলিশ দেহ দু’টি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। নিহত স্বপনের ভাই বিদ্যুৎ অধিকারী বলেন, ‘‘প্রতি দিনই দাদা তাঁর বন্ধু তরুণকে সঙ্গে নিয়ে ভোরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে প্রাতর্ভ্রমণ করেন। আজও বাড়ি থেকে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। অনেক পরে আমি জাতীয় সড়কের ধারে দু’জনকে পড়ে থাকতে দেখি। আমার ধারণা কোনও গাড়ি তাঁদের ধাক্কা দিয়ে চলে গেছে।’’ বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) গণেশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, গাড়ির ধাক্কাতেই এই ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত চলছে। ঘাতক গাড়িটিকে এখনও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন