ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরে যোগ দিতে এসেছিলেন তাঁরা। সন্দেহ সঠিক প্রমাণিত হতেই শ্রীঘরে যেতে হল দুই যুবককে। জেলা সদর সিউড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার। ধৃতদের নাম রণজিৎ রায় ও অনির্বাণ চৌধুরী। উভয়েই সিউড়ি এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ শুক্রবার উভয়কে সিউড়ির মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিষ্ট্রেট নিরুপম করের এজলাসে তুললে বিচারক ধৃতদের বিরুদ্ধে চারদিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন। এ কথা জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী কুন্তল চট্টোপাধ্যায়। অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী বলছেন, এঁরা ষড়যন্ত্রের শিকার।
ঠিক কী ঘটেছে?
জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি হাসপাতালে গ্রুপ সি পদে যোগ দেওয়ার নিয়োগপত্র নিয়ে জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য দফতরে বৃস্পতিবার আসেন অনির্বাণরা। কিন্তু নিয়োগ পত্রের ধরণ দেখেই সন্দেহ হয় আধিকারিকদের। প্রথমত সিউড়ি জেলা হাসপাতালে এমন পদের কোনও প্রয়োজনীয়তা আদৌ আছে কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ দেখা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে জেলা স্বাস্থ্যদফতরের আধিকারিকেরা রাজ্য যুগ্ম স্বাস্থ্য অধিকর্তার নজরে বিষয়টি আনেন। জানতে পারেন যা সন্দেহ করা হয়েছিল সেটাই ঠিক নিয়োগপত্র দুটিই জাল। বিষয়টি জেলাশসকের নজরেও আনা হয়। উভয়ের সঙ্গে এরপর কথাও বলেন জেলাশাসক। তারপরেই দুই যুবকের ঠাঁই হয় হাজতে।
জেলা প্রশাসন অবশ্য মুখ খোলেনি। মুখ খোলেননি ও জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়িও। তিনি বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে যা বলার রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলবেন।’’
দুই যুবকের পরিবার সূত্রে দাবি করা হয়েছে, একেবারেই নিরীহ টাইপের দুই যুবকের সঙ্গে প্রতারণার কোনও যোগ নেই। বরং তাঁরাই প্রতারিত হয়েছেন। টাকা নিয়ে কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র ধারানো হয়েছিল। রাজ্যস্তরের কোনও চক্রের কোনও যোগ ঘটনার সঙ্গে রয়েছে কিনা সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে, বলছে পুলিশ। কুন্তলবাবু বলেন, ‘‘মঙ্গলবার ফের ধৃতদের আদালতে হাজির কারনো হবে।’’