Police Inspection

বাইকের তল্লাশি ঘিরে ধুন্ধুমার

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন ধরেই চোরাই বাইক নিয়ে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এর মাঝে শহরের পুরনো বাইক কেনাবেচার দোকানগুলির সঙ্গে এই চোরাই বাইকের সংযোগ প্রাথমিক ভাবে মেলে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২০ ০১:১৫
Share:

চলছে গোলমাল। মঙ্গলবার সিউড়িতে। নিজস্ব চিত্র

‘চোরাই’ বাইকের তল্লাশি করতে গিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড হল সিউড়ির রবীন্দ্রপল্লিতে। এক পুলিশ কর্তাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল পুরনো বাইকের কারবারি ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাল্টা লাঠি চালায় পুলিশ। লাঠিচার্জের অভিযোগ অবশ্য মানতে চায়নি পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে সিউড়ি-দুবরাজপুর রোডে রবীন্দ্রপল্লি এলাকায়। চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৯টি বাইক আটক করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন ধরেই চোরাই বাইক নিয়ে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এর মাঝে শহরের পুরনো বাইক কেনাবেচার দোকানগুলির সঙ্গে এই চোরাই বাইকের সংযোগ প্রাথমিক ভাবে মেলে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। সোমবার সন্ধ্যায় সিউড়ি শহরের তিনটি পুরনো বাইকের দোকান বন্ধ করতে বলে পুলিশ। দোকান ও গাড়ির কাগজ নিয়ে থানায় দেখা করতে বলা হয়। পুলিশের আরও দাবি, রবীন্দ্রপল্লি এলাকায় পুরনো গাড়ির ব্যবসা করেন জাবেদ আনসারী নামে এক যুবক। তিনি সিউড়ির কাকড়খাদের বাসিন্দা। রবিবার রাতে ওই যুবকের দোকান থেকে একটি বাইক দুবরাজপুর পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু, রবীন্দ্রপল্লিতে নাকা চলাকালীন সেই বাইক আটক করে পুলিশ। ওই বাইকের কাগজ দেখাতে না পারলে দোকান বন্ধ রাখতে ও থানায় যেতে বলা হয়।

অভিযোগ, এই অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে সিউড়ি-দুবরাজপুর রাস্তা অবরোধ করেন জাবেদ আনসারি নামে ওই ব্যবসায়ী এবং তাঁর লোকজন। সেই অবরোধকে কেন্দ্র করেই অশান্তি শুরু হয়। ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি) দেবীদয়াল কুণ্ডুর নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী সেই অবরোধ তুলতে গেলে বাধা দেয় জাবেদের অনুগামীরা। সিউড়ি থানার আইসি চন্দ্রশেখর দাশকে হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ। এরপরেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় জাবেদ আনসারি সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৯টি বাইক আটক করা হয়েছে। জেলা পুলিশের কর্তাদের দাবি, দুষ্কৃতীরা বাইক চুরি করে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পাচার করে দিচ্ছে। খাদানের কাজে ব্যবহার হচ্ছে বলেও পুলিশের অনুমান। ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি) দেবীদয়াল কুণ্ডু বলছেন, ‘‘জোর করে অবরোধ হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে সেই অবরোধ তুলে দেয়। কোনও লাঠিচার্জ হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন