বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজে ভাঙচুর

শুক্রবার ভোরে বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র, বিষ্ণুপুরের দারুকা কমপ্লেক্সের বাসিন্দা দিব্যেন্দু চক্রবর্তীর (১৯) গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর বাড়ি থেকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৫৭
Share:

ছাত্র-মৃত্যুর প্রতিবাদ। নিজস্ব চিত্র

ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কলেজের অধ্যাপক ও কলেজের এক শিক্ষক ও কিছু সিনিয়র ছাত্রীর বিরুদ্ধে। এ বার সেই অধ্যাপকের শাস্তির দাবি তুলে শনিবার বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজে বিক্ষোভ দেখিয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল কলেজ ছাত্রদের একাংশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে এ দিন উত্তেজনা ছড়ায় কলেজে। পরে অধ্যক্ষ বিষয়টি নিয়ে কলেজের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠকে আলোচনা করার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ থামে।

Advertisement

শুক্রবার ভোরে বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র, বিষ্ণুপুরের দারুকা কমপ্লেক্সের বাসিন্দা দিব্যেন্দু চক্রবর্তীর (১৯) গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর বাড়ি থেকে। দিব্যেন্দুর বাবা রতনচন্দ্র চক্রবর্তী ছেলের অপমৃত্যুর জন্য খ্রিস্টান কলেজের ইংরেজি বিভাগের এক অধ্যাপক-সহ কলেজের সিনিয়র কিছু ছাত্রীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। রতনচন্দ্রবাবুর অভিযোগ, অধ্যাপক ও কলেজের সিনিয়র কিছু ছাত্রী দিব্যেন্দুকে হুমকি ও ভয় দেখিয়ে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। সেই মেসেজ দেখেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় দিব্যেন্দু।

খ্রিস্টান কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজের দেওয়াল পত্রিকায় নিজের লেখা ছাপানোর জন্য দিয়েছিলেন দিব্যেন্দু। তবে পত্রিকার সম্পাদকীয় বোর্ডের তরফে তাঁর লেখা বাতিল করে দেওয়া হয়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দিব্যেন্দুর সঙ্গে পত্রিকার সম্পাদকীয় বোর্ডের কিছু সদস্যের মনোমালিন্য চলছিল। যদিও ওই ছাত্রের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। পুলিশ দিব্যেন্দুর মোবাইলটি সংগ্রহ করেছে তদন্তের জন্য। এ দিন দুপুরে শতাধিক ছাত্র খ্রিস্টান কলেজের ইংরেজি বিভাগের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ইংরেজি বিভাগের জানলার কাচ ভাঙচুর করা হয়। বিভাগের একটি কম্পিউটারও ক্ষতিগ্রস্ত করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর বিক্ষোভকারীরা কলেজের অধ্যক্ষ ও অধ্যাপকদের ঘেরাও করে রাখেন। তাঁদের দাবি, ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

Advertisement

কলেজের অধ্যক্ষ ফটিকবরণ মণ্ডল বলেন, “বিষয়টি বিচারাধীন। তাই এ ক্ষেত্রে কলেজ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তবে কলেজের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি বৈঠকে ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে।” তিনি জানান, আগামী মঙ্গলবার ওই বৈঠক হবে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সেই অধ্যাপক। তিনি দাবি করেন, “এক জন শিক্ষক হিসেবে কোনও ছাত্রের আচার ব্যবহারে ত্রুটি দেখলে তাঁকে সতর্ক করার অধিকার রয়েছে। আমি শুধু সেটুকুই করেছি। আর তার জন্য আমার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তোলা হচ্ছে, এটা দুর্ভাগ্যজনক।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন