road

সামনে মাধ্যমিক, চাঁদা তুলে রাস্তা সারালেন নলহাটির বাসিন্দারা! অভিযোগ, কেউ কথা রাখেনি

গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, ওই রাস্তা দিয়েই এলাকার ৮টি স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে যাবেন। তখন প্রবল ভিড় হবে রাস্তায়। দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে। এই সব ভেবে রাস্তা সারাই করছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নলহাটি শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:১৭
Share:

মঙ্গলবার সকাল থেকে রাস্তায় পাথরের গুঁড়ো ফেলা শুরু করেছেন এলাকার যুবকেরা। —নিজস্ব চিত্র।

সরকারের বিভিন্ন দফতর থেকে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে বার বার ছুটেও কোনও লাভ হয়নি। ভাঙা রাস্তার দশা আরও খারাপ হয়েছে। নজর দেননি কেউই। তাই চাঁদা তুলে গ্রামবাসীরা নিজেরাই রাস্তা সারাই করলেন। বীরভূমের নলহাটির শালিষাণ্ডা গ্রামের ঘটনা। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাস্তায় পাথরের গুঁড়ো ফেলা শুরু করেছেন এলাকার যুবকেরা। নিজেরাই তৈরি করছেন রাস্তা। আর প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন।

Advertisement

বীরভূমের নলহাটি ২ ব্লকের নোয়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের লোহাপুর থেকে মোড়গ্রাম পর্যন্ত রেল লাইনের পাশ দিয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ওই রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন অন্তত ২০ হাজার মানুষের রোজের যাতায়াত। ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন পথচারীরা। দুর্ঘটনা হয়। স্কুলে যায় কচিকাঁচারা। তাদের জন্য চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরা। সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে রাস্তার হাল ফেরালেন।

গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, ওই ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়েই এলাকার ৮টি স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে যাবেন। তখন প্রবল ভিড় হবে রাস্তায়। দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে। এই সব সাত-পাঁচ ভেবে শালিষাণ্ডা গ্রামের ২০-২২ জন যুবক চাঁদা তুলে পাথরের গুঁড়ো কেনেন। তারাই স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে রাস্তা সারাইয়ে হাত লাগান ।

Advertisement

গোলাম মোস্তাফা নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, ‘‘বছর দুয়েক আগে আমরা এই রাস্তা মেরামতের চেষ্টা করেছিলাম। আজ দেখলাম, এলাকার যুবক বন্ধুরা রাস্তা তৈরি করছে চাঁদা তুলে। স্কুল-হাসপাতালে যাতায়াত যাতে ভাল ভাবে করা যায়, তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’’ গোলামের মতো অন্যান্য গ্রামবাসীর অভিযোগ, বিডিও থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সবার কাছেই রাস্তা তৈরির আর্জি করা হয়েছে। প্রতিশ্রুতি মিলেছে। কাজ হবে বলে জানানো হয়েছে। ব্যাস ওই টুকুই। তার পর আর কোনও খবর নেই।

এ নিয়ে স্থানীয় বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এমন কোনও বিষয় জানতাম না। খবর নিচ্ছি। এমন কিছু হয়ে থাকলে এলাকাবাসীর পাশে থাকব আমি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন