Bidyut Chakrabarty

Bidyut Chakraborty: পৌষমেলা করা যায়নি রাজ্যের বাধায়! উপাচার্যের মন্তব্যে ফের নবান্ন-বিশ্বভারতী সঙ্ঘাত

পৌষমেলা না হলেও ৭ পৌষ, বৃহস্পতিবার সকালে ছাতিমতলায় উপাসনার মাধ্যমে পৌষ উৎসবের সূচনা করা হয়েছে। সেখানে এ কথা বলেছেন উপাচার্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১০:২৬
Share:

বিশ্বভারতীর উপাচার্যের মন্তব্যে ফের বিতর্ক। ফাইল ছবি।

শান্তিনিকেতনে এ বছর পৌষমেলা না হওয়ার দায় রাজ্য সরকারের উপর চাপালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, ‘‘স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি লেখার পরেও কোনও উত্তর মেলেনি। তাই এ বছর পৌষমেলা করা সম্ভব হয়নি।’’ পৌষমেলা না হলেও ৭ পৌষ, বৃহস্পতিবার সকালে ছাতিমতলায় উপাসনার মাধ্যমে পৌষ উৎসবের সূচনা করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য। সেখানেই এ কথা বলেছেন তিনি। এই কথা শোনার পর নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে উপাচার্যকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর মতে, নিজের ব্যর্থতার দায় রাজ্যের ঘাড়ে চাপাতে চাইছেন উপাচার্য।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে ছাতিমতলায় পৌষ উৎসবের সূচনা করে উপাচার্য বলেছেন, ‘‘আমরা পৌষমেলা করার জন্য অক্টোবর মাস থেকেই উদ্যোগী হয়েছিলাম। অনুমতি নেওয়ার জন্য প্রথমে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠায়। এর পর রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি পাঠায় আমরা। তার পর তাঁকে তিন বার বিষয়টি মনে করানোও হয়েছিল। কিন্তু কোনও উত্তর মেলেনি। তাই আমরা পৌষমেলা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’

পৌষমেলা নিয়ে রাজ্য সরকারের উপর দায় চাপানোর পাশাপাশি ছাতিমতলার ঐতিহ্যবাহী মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন শিক্ষানীতির গুণগান শোনা গিয়েছে উপাচার্যের গলায়। ছাতিমতলার মঞ্চ থেকে ফের এ ধরনের বক্তব্য রাখায় ক্ষুব্ধ প্রাক্তনীদের একাংশ।

Advertisement

বিদ্যুতের এই অভিযোগের পর তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অনুব্রত। উপাচার্যকে দেগে তিনি বলেছেন, ‘‘বিশ্বভারতীর উপাচার্য অশিক্ষিত এবং অপদার্থ। নিজের দায়ভায় রাজ্যের ঘাড়ে চাপাতে চাইছে। তাই অজুহাত দিচ্ছে।’’ রাজ্যের ঘাড়ে দায় চাপানো নিয়ে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেছেন, ‘‘উনি মিথ্যা কথা বলছেন। মেলা করার জন্য পুরসভা তো মাঠের জন্য অনুমতি চেয়েছিল। সেই মেলার খরচ তো আমরা করতাম। বিশ্বভারতীর লাগত না। উনি তো সে সময় কোনও জবাবই দেননি। পুরসভার চিঠির উত্তর দিলে বুঝতাম ওঁর সদিচ্ছা আছে। এখন দায়ভার চাপিয়ে নিজে বাঁচতে চাইছেন। উনি কখন কী নাটক করেন বোঝা মুশকিল।’’

পৌষমেলা না হলেও সীমিত সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতেই ছাতিমতলায় বৈতালিক এবং উপাসনার মাধ্যমে পালিত হল পৌষ উৎসব। ছাত্র-ছাত্রী এবং অধ্যাপকেরাও হাজির ছিলেন অনুষ্ঠানে। পৌষমেলা না হওয়ায় মন খারাপ ছাত্রছাত্রীদের একাংশের। তাঁদের বক্তব্য, পৌষমেলা না হলেও রবীন্দ্র-ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্যই পৌষ উৎসবে যোগ দিয়েছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা না হলেও বোলপুরে ডাকবাংলো মাঠে বিকল্প মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হচ্ছে সেই মেলা। চলবে ১১ পৌষ পর্যন্ত। শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার ঢঙেই আয়োজন করা হয়েছে সেই মেলার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন