Bidyut Chakrabarty

‘বিশ্বভারতীর সোনার ডিমে সবার লোভ, হাঁসের যত্ন নেই’! চক্রবর্তীর ‘বক্রবাণে’র নিশানায় কে?

উপাচার্য বিদ্যুৎ বলেন, ‘‘দুঃখের বিষয়, বিশ্বভারতীতে প্রত্যেকটি শব্দের বিকৃত অর্থ পাচ্ছি। যে বিকৃত অর্থের পিছনে লুকিয়ে আছে ব্যক্তিগত স্বার্থ, বিশ্বভারতীকে না ভালবাসার প্রকাশ।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৩৪
Share:

বিদ্যুতের নিশানায় কেন প্রাক্তনী ও আশ্রমিকরা? — ফাইল ছবি।

বিশ্বভারতীর বুধবারের প্রার্থনা চলাকালীন আবার ‘বাণ’ ছুড়লেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। আর সেই বাণ ছুড়তে গিয়ে বিশ্বভারতীকে অভিহিত করলেন সোনার ডিম পাড়া হাঁস হিসাবে। বিদ্যুতের দাবি, বিশ্বভারতী সোনার ডিম পাড়া হাঁস। ডিমের উপর সবারই লোভ। কিন্তু হাঁসের যত্ন নেওয়ার দিকে কারও নজর নেই। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, নাম না করে আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী, আশ্রমিক এবং রাবীন্দ্রিকদেরই নিশানা করেছেন তিনি।

Advertisement

বিশ্বভারতীর আশ্রমিক, প্রাক্তনী এবং রাবীন্দ্রিকদের নিয়ে বর্তমান উপাচার্যের যে মহাসমস্যা তা নতুন নয়। প্রায় নিয়ম করেই প্রাক্তনী, আশ্রমিকদের বিভিন্ন কটাক্ষ, আক্রমণ করে থাকেন বিদ্যুৎ। বুধবারের প্রার্থনাসভাতেও তার ব্যতিক্রম হল না। বিদ্যুৎ বলেন, ‘‘বিশ্বভারতী সোনার ডিম দেওয়া হাঁস। ডিমের প্রতি আগ্রহ আছে সবার। সবাই ওই ডিমের কতটা অংশ পেতে পারেন, তার পিছনে দৌড়ন। কিন্তু হাঁসের লালনপালন করেন না।’’

সম্প্রতি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে জমি নিয়ে কাড়াকাড়িতে জড়িয়ে পড়েছে রবীন্দ্রনাথ প্রতিষ্ঠিত এই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। অমর্ত্যকে আক্রমণ এবং কটাক্ষ করে বিদ্যুতের একাধিক উক্তিও বিতর্ক তৈরি হয়েছে জনমানসে। সেই আবহেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী, আশ্রমিক এবং রাবীন্দ্রিকদের লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন বিদ্যুৎ। তাঁর অভিযোগ, বিশ্বভারতীকে ভাঙিয়ে খাচ্ছেন প্রাক্তনী এবং আশ্রমিকরা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি কামনায় তাঁদের কোনও ভাবনা নেই। তাঁদের বিঁধে বিতর্কিত উপাচার্য বলেন, ‘‘আমার আবেগ আছে বিশ্বভারতী থেকে কতটা পেতে পারি। কিন্তু সোনার ডিম দেওয়া যে হাঁস বিশ্বভারতী, তারও তো লালনপালন দরকার, সেই আবেগ কিন্তু নেই!’’

Advertisement

এ দিন সকালে উপাচার্য যে কোনও শব্দের দুটি পৃথক অর্থ থাকে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ২০২০ সালে ২০ অগস্ট কিছু অসামাজিক লোকের তাণ্ডব চলেছিল। বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যমণ্ডিত তোরণ ভাঙাহয়েছিল। বিশ্বভারতীর সীমানা প্রাচীর ভাঙা হয়েছিল। এটাও আবেগের বশে করা হয়েছিল। অর্থাৎ আবেগ শব্দের ভাল দিকও আছে, বিকৃত দিকও আছে। উপাচার্য বলেন, ‘‘আমি চাইব, আমাদের ছাত্রছাত্রীরা এটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। বিকৃত দিকের পিছনে লুকিয়ে আছে ব্যক্তিগত স্বার্থ, বিশ্বভারতীকে না ভালবাসার প্রকাশ।’’ ছাত্রছাত্রীদেরও এ বিষয়ে গভীরে গিয়ে ভাবার আবেদন করেন বিদ্যুৎ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন