দেওয়াল ভাঙা নিয়েও রাজনীতি

পুরভোটের মুখে ঝড়ে একটি বাড়ির দেওয়াল পড়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে রাজনীতি শুরু হল পুরুলিয়ার ঝালদা পুর-এলাকায়। দেখা দিল উত্তেজনাও। তার জেরে এ দিন বিকেলে পুরসভার দরজায় তালাও পড়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝালদা শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৫ ০১:১১
Share:

পুরভোটের মুখে ঝড়ে একটি বাড়ির দেওয়াল পড়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে রাজনীতি শুরু হল পুরুলিয়ার ঝালদা পুর-এলাকায়। দেখা দিল উত্তেজনাও। তার জেরে এ দিন বিকেলে পুরসভার দরজায় তালাও পড়ে যায়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলের প্রবল ঝড়ে ঝালদার ১০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ে। এই ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর সুরেশ অগ্রবাল ঝালদা পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান। ঝড়ে দেওয়াল পড়ে যেতেই বৃহস্পতিবার সকালে আসরে নেমে পড়ে তৃণমূল। দলের তরফে দাবি ওঠে, পুরপ্রধান নিজের ওয়ার্ডে কোনও টেন্ডার ছাড়া কাজ করিয়েছেন। সেই কাজ নিম্নমানের হওয়াতেই ঝড়ে দেওয়াল ভেঙে পড়েছে।

এ দিন বিকেলে আবার পুরসভায় পৌঁছে যান কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁরা দাবি করেন, বিভিন্ন ওয়ার্ডে পুরপ্রধান কত টাকা বরাদ্দ করেছেন, তার হিসেব দিতে হবে। কী ভাবে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির দেওয়াল ঝড়ে ভেঙে পড়ল, তারও তদন্ত করতে হবে। সে সময় পুরসভায় ছিলেন প্রদীপ গোস্বামী নামে একজন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। তিনি কংগ্রেসের কর্মীদের কোনও হিসেব দিতে পারেননি। প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘আমার পক্ষে হিসাব দেওয়া সম্ভব নয়। আমি পুরপ্রধানকে ফোনে সমস্ত ঘটনা জানাই। তাঁকে জানিয়ে ছুটি নিই।’’ স্থানীয় সূত্রের খবর, হিসাব না পেয়ে কংগ্রেস কর্মীরা ওই ইঞ্জিনিয়ারকে বলেন, যখন কোন তথ্যই পুরসভা থেকে মিলবে না, তখন পুরসভা খোলা রেখে কী লাভ! এর পরেই তালা দিয়ে দেওয়া হয়। বিদায়ী পুরপ্রধান সুরেশবাবু বলেন, ‘‘একটা বাড়ির পাঁচ ইঞ্চির দেওয়াল ঝড়ে পড়ে যাওয়াকে ঘিরে কংগ্রেস ও তৃণমূল রাজনীতি করছে। এ বারও আমি এই ওয়ার্ড থেকে ভোটে লড়ছি। আর আমার ওয়ার্ডেই নির্মীয়মাণ বাড়ির চার ফুট দেওয়াল ভেঙে পড়েছে বলে হইচই শুরু করেছে ওই দুই দল। এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’’ তাঁর আরও দাবি, ঝালদায় এত দিন যে কাজ হয়নি, তিনি অল্প সময়ের জন্য পুরপ্রধান হয়ে তার চেয়ে বেশি কাজ করেছেন। পুরসভায় তালা পড়ে গিয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি এ দিন পুরসভায় যাইনি। তবে সে রকমই শুনেছি। এক কর্মী ছিলেন. তাঁকে তালা বন্ধ করে দিতে বাধ্য করেছে কিছু লোক।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন