জল এল সদর হাসপাতালে

সাহেববাঁধের জল হাসপাতালে সরবরাহ করে অবস্থা আপাতত সামাল দিল পুরসভা। টানা ৫৪ ঘণ্টা নির্জলা থাকার পরে অবশেষে জল এল পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৬ ০১:০৩
Share:

পুরুলিায় সদর হাসপাতালে জল নেওয়ার লাইন। —নিজস্ব চিত্র

সাহেববাঁধের জল হাসপাতালে সরবরাহ করে অবস্থা আপাতত সামাল দিল পুরসভা। টানা ৫৪ ঘণ্টা নির্জলা থাকার পরে অবশেষে জল এল পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালে।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে পুরসভার স্বাভাবিক সরবরাহ লাইনেই জল এসেছে। পুরসভা সূত্রের খবর, কংসাবতী নদীর যে উৎস থেকে হাসপাতালে প্রতিদিন জল সরবরাহ করা হয়, সেই লাইনে কোথাও গোলমাল রয়েছে। সেটা কোথায়, তা অবশ্য এখনও খুঁজে বের করা যায়নি। এ দিকে জলের প্রয়োজন দেখে এ দিন বিকল্প উৎস সাহেববাঁধ থেকে হাসপাতালে জল সরবরাহ করা হয়। উল্লেখ্য, পাইপ লাইনে জল না আসায় শুক্রবার সন্ধ্যে থেকেই নির্জলা হয়ে পড়ে দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতাল। শনিবার সকাল থেকে জল না পেয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয় রোগিদের। জল ছিল না নার্সেস হস্টেলেও।

সোমবার হাসপাতালের সহকারি সুপার শান্তনু মুখোপাধ্যায় জানান, হাসপাতালে এ দিন জল এলেও ওটির কাজ স্বাভাবিক ভাবে চালু করা যায়নি। কিছু অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখতে হয়েছে। শান্তনুবাবু বলেন, ‘‘জরুরি অস্ত্রোপচার সবই হয়েছে। শুধু কয়েক’টি কোল্ড ওটি (যে সমস্ত অস্ত্রোপচার পরে করার ক্ষেত্রে অসুবিধে নেই) বাতিল করা হয়েছে।’’

Advertisement

এ দিন শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কংসাবতী নদীর শিমুলিয়া পাম্পিং স্টেশন থেকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে জল সরবরাহ করা হয়। শুক্রবার বিকেল থেকেই এই সরবরাহ লাইনের বিদ্যুতের লাইনে গোলমাল দেখা দেয়। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় জল তোলা সম্ভব হয়নি। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কমবেশি দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিদ্যুতের কেবল মাটির প্রায় চার ফুট নীচে পাতা রয়েছে। সেই লাইনের কোথায় গলদ রয়েছে শনিবার থেকে তার খোঁজ চলছিল। পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের এক আধিকারিক পার্থসারথি সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘আমরা কিছু গলদ খুঁজে পেয়েছিলাম। তা মেরামতও করা হয়েছে। কিন্তু এখনও বড় গোলমাল থেকে গিয়েছে।’’ রবিবার রাত থেকে টানা বৃষ্টির জেরে ত্রুটি খোঁজার কাজে সমস্যা হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন