কঙ্কালীতলায় মহাযজ্ঞের ডাক কেষ্ট’র

হনুমানজয়ন্তী পালন আগেই হয়েছে। এ বার মহাযজ্ঞ!এপ্রিলের ২৯ তারিখে ৫১ সতীপীঠের অন্যতম কঙ্কালীতলায় ‘মহাযজ্ঞ’ করার সিদ্ধান্ত নিল বীরভূম জেলা তৃণমূল।তাতে আসবেন কামাক্ষা, কামরূপের ১১ জন পুরোহিত। পুড়বে ৫১ কেজি কাঠ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৭ ০১:২৪
Share:

প্রতিবাদ: আমোদপুরে মিছিলে অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র

হনুমানজয়ন্তী পালন আগেই হয়েছে। এ বার মহাযজ্ঞ!

Advertisement

এপ্রিলের ২৯ তারিখে ৫১ সতীপীঠের অন্যতম কঙ্কালীতলায় ‘মহাযজ্ঞ’ করার সিদ্ধান্ত নিল বীরভূম জেলা তৃণমূল।

তাতে আসবেন কামাক্ষা, কামরূপের ১১ জন পুরোহিত। পুড়বে ৫১ কেজি কাঠ। কয়েক হাজার মানুষ পাত পেড়ে খাবেন। মঙ্গলবার জেলা তৃণমূলের এক জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অনুব্রত মণ্ডল।

Advertisement

হিন্দুত্ব নিয়ে সুর চড়িয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে বীরভূমেও তারা যে শাসকদলকে টক্কর দিতে প্রস্তুত, সোমবার এক মিছিলে তা বুঝিয়েও দিয়েছে। সেই জায়গা থেকেই কি এই মহাযজ্ঞের সিদ্ধান্ত?

জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের জবাব, ‘‘ও সব ভয়-ফয় নয়। আমরা কাউকে ভয় পাই না। আমরা হিন্দু। মহাযজ্ঞ, পুজো করতেই পারি। হিন্দুত্ব নতুন করে কারও কাছে শিখতে হবে না। কখন করব, কেমন করে করব, তা আমরা জানি।’’

তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপি-র উত্থানের সঙ্গে মহাযজ্ঞের যোগসূত্র স্বীকার না করলেও দলেরই অন্য একটি সূত্র অন্য কথা বলছে। ওই সূত্রটির ব্যাখ্যা: সাম্প্রতিক অতীতে লাভপুরে বিস্ফোরণ, পাড়ুইয়ে বোমাবাজি হয়েছে।

একাধিক এলাকায় গোষ্ঠী কোন্দলেও শাসকদলের নাম প্রকাশ্যে এসেছে। একের পর এক ঘটনা বিব্রত করেছে শীর্ষ নেতৃত্বকে। উল্টো দিকে, হনুমানজয়ন্তী-র মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, প্রতিবাদে বিজেপি-র মিছিল এবং সভায় লোকসমাগম ভালই হয়েছে। জেলার নানা প্রান্তে সমানে-সমানে টক্করও দিয়ে চলেছে বিজেপি। তা ছাড়া, সোমবারের মহামিছিল তো আগের সব ভিড়কে ছাপিয়ে গিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে নিচুতলার কর্মীদের আরও চাঙ্গা করতে এবং বিজেপি-র হিন্দুত্বের তাস কেড়ে নিতে কী করণীয় তা ঠিক করতে মঙ্গলবার বোলপুরে জরুরি বৈঠকে বসে তৃণমূল।

ওই বৈঠকে ছিলেন জেলার সব ব্লকের সভাপতি, সমস্ত বিধায়ক, দুই মন্ত্রী, দলের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের সভাপতি এবং জেলা শীর্ষ নেতৃত্ব।

বোলপুরের নিচুপট্টি রোডে আদ্যাশক্তি ক্লাবের কাছে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে ঘণ্টা তিনেক চলে ওই বৈঠক। বৈঠক শেষে, সাংবাদিকদের কঙ্কালীতলায় মহাযজ্ঞ আয়োজনের কথা জানান অনুব্রত।

এ দিনের ওই বৈঠকে নলহাটির বিধায়ক মইনুদ্দিন সামসকে নলহাটি দুই নম্বর ব্লকের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। নিজের বিধানসভা এলাকা ছাড়াও নলহাটি দুই ব্লকের দেখভাল তিনি করবেন। দুবরাজপুরের অরুণ চক্রবর্তীকে দলের জেলা কমিটি সদস্য হিসেবে নেওয়া হয়েছে। তিন মহকুমার তিন পুর এলাকায় তিনটি মিছিল আগেই হয়েছে।

এ বার মে মাসের ১৩, ২০ ও ২৭ তারিখে যথাক্রমে নলহাটি, সাঁইথিয়া এবং দুবরাজপুরে মিছিল করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা নেতৃত্ব।

ব্লক সভাপতি এবং শাখা সংগঠনের মাধ্যমে জেলার সাড়ে তিন হাজার বুথে মিছিল কর্মসূচি শুরু করতে বুথ কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন