100 Days Work

১০০ দিনের পরিকল্পনা দ্রুত জমার নির্দেশ

বৃহস্পতিবার বিকেলে রামপুরহাট মহকুমাশাসকের প্রশাসনিক কার্যালয়ে ওই বৈঠক হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২০ ০১:৪০
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সংক্রমণ এড়িয়ে রাজ্য সরকার ১০০ দিনের কাজের পরিকল্পনা করার অনুমোদন দিয়েছে। কী ভাবে সেটা করা সম্ভব, তার রূপরেখা ঠিক করতে বিডিও-দের নিয়ে বৈঠক করল জেলা প্রশাসন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বিকেলে রামপুরহাট মহকুমাশাসকের প্রশাসনিক কার্যালয়ে ওই বৈঠক হয়। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, পুলিশ সুপার শ্যাম সিংগ ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাটের মহকুমাশাসক শ্বেতা আগরওয়াল, কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের মেন্টার অভিজিৎ সিংহ এবং অতিরিক্ত জেলাশাসকেরা।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে গত ৩১ মার্চ শেষ হওয়ার পরে জেলায় ২০২০-২১ সালের নতুন আর্থিক বছরের কাজ শুরুর আগেই দেশে লকডাউন শুরু হয়ে যায়। লকডাউন চলার ফলে লক্ষ লক্ষ দিন আনি দিন খাওয়া মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাঁদের পরিবারে অর্থ ও অন্নের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ করতে বলা হয়েছে।

তার রূপরেখা তৈরি চলছিলই। এ বার ব্লক, মহকুমা স্তরেও বৈঠক হল। জেলা প্রশাসনের দাবি, রামপুরহাট যেহেতু জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় মহকুমা, তাই এই এলাকার দিয়েই বৈঠক শুরু হল। আগামী দিনে সিউড়ি এবং বোলপুর মহকুমাতেও বৈঠক করা হবে বলে সূত্রের খবর।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারের এই বৈঠকে মহকুমার ৮টি ব্লকের বিডিওদের ১০০ দিনের কাজের পরিকল্পনা জেলার নোডাল অফিসারের কাছে দ্রুত জমা দিতে বলা হয়েছে। জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ জানান, এই সময়ে অনেক জায়গায় পুকুরের জল শুকিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আগামী দিনের সেচের ব্যবস্থার জন্য ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে নতুন পুকুর খননের কাজ শুরু করা যায়। পাশাপাশি সামনে বর্ষায় চাষের জন্য সেচনালা

সংস্কার করে মাঠে সেচের জল যাতে ঠিক মতো যায় তার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ১০০ দিনের কাজে গ্রামের ভিতরের নিকাশি নালাগুলিও পরিস্কার করা যেতে পারে। তাঁর কথায়, ‘‘পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজের এস্টিমেট ১০০ দিনের কাজের জেলা নোডাল অফিসারের কাজে জমা দিতে বলা হয়েছে।”

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে জব কার্ড হোল্ডার অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত। লকডাউন পরিস্থিতিতে তাঁরা কাজ হারিয়েছেন। সেই সমস্ত জবকার্ড হোল্ডাররাও যাতে কাজ পান, সে ব্যাপারেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে সব কাজের পরিকল্পনা ও এস্টিমেট ব্লকের অধীন পঞ্চায়েতগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে এবং কাজের ক্ষেত্রে সুপারভাইজারদের সঙ্গে আলোচনা করে করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ করতে বলা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন