সিউড়ি হাসপাতাল পরিদর্শন

জল জমে কেন, বিরক্ত জেলাশাসক

অবৈধ দখলদারির জেরে বন্ধ নিকাশি নালা। ফলে হাসপাতালের নানা জায়গায় জল জমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সিউড়ি জেলা হাসপাতাল পরিদর্শন করে এমনই অভিজ্ঞতা হল জেলাশাসক-সহ প্রশাসনিক কর্তাদের। পরিস্থিতি সামলাতে দ্রুত বেআইনি দখলদারি হটিয়ে সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা গড়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:১২
Share:

পরিবেশ: সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু।

অবৈধ দখলদারির জেরে বন্ধ নিকাশি নালা। ফলে হাসপাতালের নানা জায়গায় জল জমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সিউড়ি জেলা হাসপাতাল পরিদর্শন করে এমনই অভিজ্ঞতা হল জেলাশাসক-সহ প্রশাসনিক কর্তাদের। পরিস্থিতি সামলাতে দ্রুত বেআইনি দখলদারি হটিয়ে সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা গড়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু।

Advertisement

ডেঙ্গি-সহ মশাবাহিত রোগের মোকাবিলায় ‘মিশন নির্মল বাংলা পরিচ্ছন্নতা অভিযান সপ্তাহ’ শুরু হয়েছে গত ২৯ অগস্ট। চলবে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তারই অঙ্গ হিসাবে মঙ্গলবার সকালে সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ ও পুরসভার কর্তারা। ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) দীপ্তেন্দু বেরা, মহকুমাশাসক রাজীব মণ্ডল, মিশন নির্মল বাংলার নোডাল অফিসার বুদ্ধদেব পান, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি, পুরপ্রধান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।

হাসপাতালে ঢুকে যেখানে সেখানে, বিশেষ করে ময়না-তদন্তের ঘর থেকে সংক্রমণ বিভাগে যাওয়ার রাস্তায় জল ও আবর্জনা জমে থাকতে দেখে দেখে বিরক্ত হন জেলাশাসক। কেন জমছে জল, তার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, সিউড়ি হাসপাতালের মূল গেটের দু’পাশের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে থাকা নিকাশি নালায় জমেছে মাটি, প্লাস্টিকের প্যাকেট, অন্য আবর্জনাও। একই ভাবে অবৈধ দখলদারির জেরে হাসপাতালে যে মর্গ রয়েছে, তার ঠিক পিছনের প্রাচীর বরাবর থাকা নিকাশি নালাটিও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
হাসপাতাল থেকে জল বেরনোর দু’টি নিকাশি নালা বন্ধ থাকায় কারণেই জমছে জল। তবে এ দিনের সাফাই অভিযানের পরে পরিচ্ছন্ন হয়েছে হাসপাতাল চত্বর।

Advertisement

জমা জল দেখে ক্ষোভ। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত বছর মে-তে নতুন সুপার স্পেশ্যালিটি ভবনে হাসপাতালের একটা বড় অংশ সরে যাওয়ায় দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমেছে। তবে নিকাশি সমস্যার কারণে জল জমার সমস্যা রয়ে গিয়েছে। পুরানো ভবন এখন যেখানে প্রসূতি ও শিশু বিভাগ, সংক্রমণ বিভাগের সামনের অংশে প্রতি বর্ষায় জল জমে বলে জানান রোগী ও পরিজনেরা।

বছর দুয়েক আগেও এক বার পুরসভা ও প্রশাসনিক উদ্যোগে হাসপাতালের সামনের অংশে বেআইনি দখলদারি সরানো হয়েছিল। চওড়া রাস্তা, নিকাশি নালা, ফুটপাত তৈরি করা হয়। কিন্তু তার পরে অস্থায়ী ভাবে ফের দোকান বসতে শুরু করায় আগের পরিস্থিতি ফিরে আসছে বলে অভিযোগ।

এ দিন জেলাশাসক বলেন, ‘‘ডেঙ্গি প্রতিরোধের জন্যই হাসপাতাল পরিদর্শন। নিকাশি নালা জুড়ে অবৈধ দখলদারির জন্য হাসপাতালে জল জমছে।’’ অবৈধ দখলদারি সরাতে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান তিনি। জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী জানান, হাসপাতাল চত্বরে আরও একটি ভ্যাট গড়ার টাকা দেবে জেলা পরিষদ। এ ছাড়া, হাসপাতালের সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান সভাধিপতি ও জেলাশাসক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন