বাড়ির পাঁচিলের ভাঙা অংশ চাপা পড়ে মৃত্যু হল বধূর। সোমবার সন্ধ্যায় মুরারই থানার বন মহুরাপুরের ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম টুম্পা কোনাই (২৩)। তাঁরা বাড়ি বন মহুরাপুরেই। ওই ঘটনায় জখম হয়ে বর্তমানে টুম্পার জা এবং জায়ের মেয়ে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বাড়ির পাঁচিলের ওই ভাঙা অংশের পাশে চালাঘরে রান্না করছিলেন ওই বধূ। সেখানে তখন বসেছিলেন ওই বধূর জা এবং জায়ের মেয়ে। আচমকা দেওয়াল ভেঙে পড়লে বধূ তার মধ্যে সম্পূর্ণ চাপা পড়ে যান। বাকি দু’জনের পায়ের উপরেও দেওয়াল চাপা পড়ে। তাঁদের আর্ত চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ গুরুতর জখম অবস্থায় তিন জনকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। বধূর অবস্থার অবনতি ঘটলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরিবারের লোক জন তাঁকে বর্ধমান নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করতে রাতেই ওই বধূর মৃত্যু হয়।
নিখোঁজ ছাত্র। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্র। সোমবার দুর্গাপুরের বেনাচিতি এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় অভিষেক সিংহ নামে ওই ছাত্র। তার বাড়ি ওল্ড কোর্ট মোড় লাগোয়া নঈমনগরে। নিখোঁজ ছাত্রের পরিবারের তরফে ফরিদপুর ফাঁড়িতে সোমবার রাতে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ জানায়, তল্লাশি শুরু হয়েছে। বেনাচিতির একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে অভিষেক। পরিবারের তরফে জানানো হয়, অন্য দিনের মতো সোমবারও সাইকেলে চড়ে স্কুলে গিয়েছিল অভিষেক। এমনকী, স্কুল ছুটির পরে বন্ধুদের সঙ্গে সাইকেলে কিছুটা রাস্তা আসে। ছেলের ওই বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জেনেছেন, বেনাচিতির নতুনপল্লি পর্যন্ত অভিষেক তাদের সঙ্গে এসেছিল। কিন্তু তার পরে আর কোনও খোঁজ মেলেনি অভিষেকের।