Birbhum Marriage

মন্দিরে স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুর বিয়ে দিলেন বীরভূমের যুবক! বদলে স্বামীর নামে করা মামলা প্রত্যাহার করছেন যুবতী

নবদম্পতির সামনে দাঁড়িয়ে কনের প্রথম স্বামীর বক্তব্য, ‘‘আজ থেকে আমি মুক্ত। আমার বৌ এখন বন্ধুর বৌ। ওর ভরণপোষণের দায়িত্ব এ বার থেকে আমার বন্ধুর।’’

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৩৯
Share:

স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুর বিয়ে দিলেন যুবক। সোমবার বীরভূমের একটি মন্দিরে তাঁদের বিয়ের আয়োজন করেন। —নিজস্ব চিত্র।

বছর নয়ের সংসার ভেঙে স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুর বিয়ে দিলেন বীরভূমের যুবক। সোমবার সাঁইথিয়ায় সতীপীঠ নন্দিকেশরী তলায় দিলেন দুই যুবক-যুবতীর বিয়ে দেখতে ভিড় করলেন স্থানীয়েরা। নবদম্পতির সামনে দাঁড়িয়ে কনের প্রথম স্বামীর বক্তব্য, ‘‘আজ থেকে আমি মুক্ত। আমার বৌ এখন বন্ধুর বৌ। ওর ভরণপোষণের দায়িত্ব এ বার থেকে আমার বন্ধুর।’’

Advertisement

বীরভূমের সাঁইথিয়ার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাপি মণ্ডল এবং বীরভূমের তারাপীঠের পঞ্চমী মণ্ডলের বছর নয়েক আগে বিয়ে হয়। দম্পতির ৭ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। তবে বিয়ের কিছু দিনের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। তার পর পঞ্চমী স্বামীর নামে পুলিশের অভিযোগ করেন। সেই মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। তার পর থেকে বাপের বাড়িতেই থাকতেন বধূ। ছেলে থাকে স্বামীর কাছে। এর মধ্যে স্বামীর বন্ধু জিৎকুমার মির্ধার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে পঞ্চমীর। জিতের বাড়ি সাঁইথিয়ার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁদের পরকীয়ার কথা জানাজানি হওয়ার পরে দুই পরিবারে অশান্তি শুরু হয়।

সোমবার সকালে হঠাৎ স্ত্রী এবং বন্ধুকে নিয়ে সাঁইথিয়ার নন্দিকেশরী মন্দিরে হাজির হন বাপি। তাঁদের বিয়ের আয়োজন করেন তিনি। মালাবদল, সিঁদুরদান করে দুই যুবক-যুবতীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর বর বলেন, ‘‘বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে আমার ‘রিলেশন’ (সম্পর্ক) ছিল। আট-নয় মাসের সম্পর্ক আমাদের। জানাজানি হওয়ার পর গন্ডগোল হয়েছিল। তবে আজ ওর (পঞ্চমী) স্বামী আমাদের বিয়ে দিল।’’ পঞ্চমীও জানালেন, স্বামীর বন্ধুকেই তিনি ভালবাসেন। সংসার করতে চান তাঁর সঙ্গে। জিতের হাত ধরে তিনি বলেন, ‘‘আমার পুরনো হাজ়বেন্ড আমাদের বিয়ে দিয়েছে।’’

Advertisement

অন্য দিকে, বাপি জানিয়েছেন, তাঁর নামে স্ত্রী মামলা করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে বন্ধুর বিয়ে দেওয়ায় সেই মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন বলে কথা দিয়েছেন। সন্তান থাকবে তাঁর কাছেই। যুবকের কথায়, ‘‘আমার বন্ধু আমার বৌকে ভালবাসে। ওদের সাত-আট বছরের সম্পর্ক। ও দিকে, আমার বৌ আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। বাপের বাড়ি গিয়ে থাকত। বন্ধুর সঙ্গে বৌ-এর সম্পর্কের কথা বলায় শ্বশুর-শাশুড়ি বলছেন, মেয়ে যা ভাল বোঝে, তা-ই করবে। তাঁদের কোনও দায়িত্ব নেই।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ও যখন আমার সঙ্গে সংসারই করবেই না এবং আমার সঙ্গে থাকলে আত্মহত্যার হুমকি দেয়, তার চেয়ে এই ভাল। যে যার মতো করে ভাল থাকুক।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement